২০শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

হেফাজতের তীব্র প্রতিবাদ, আল্টিমেটাম ; জাতিসংঘের অফিস স্থাপন

অনলাইন ডেস্ক: ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস স্থাপন চুক্তিতে অন্তর্বর্তী সরকার সই করায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।শনিবার (১৯ জুলাই) সংগঠনের আমীর আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান এক বিবৃতিতে অবিলম্বে চুক্তি বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যথায়, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
বিবৃতিতে হেফাজত নেতারা বলেন, দেশের ওলামায়ে কেরাম ও ইসলামী দলগুলোর বিরোধিতা এবং সাধারণ নাগরিকদের উদ্বেগ উপেক্ষা করে সরকার এই চুক্তিতে সই করেছে। এটি জনগণের মতামতের পরিপন্থী। সরকার এককভাবে এত বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।মার্কিন স্বার্থে তাঁবেদার জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস এদেশে হতে দেয়া যায় না। এটা এদেশের ওলামায়ে কেরামের নীতিগত সিদ্ধান্ত।তারা অভিযোগ করেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন সাধারণত যুদ্ধবিধ্বস্ত ও ব্যর্থ রাষ্ট্রগুলোতে অফিস স্থাপন করে। সেটা বাংলাদেশে হওয়া সম্মানজনক নয়। এটা ‘রহস্যজনক’ ও ‘অমর্যাদাকর’ বলে দাবি করেন তারা।
বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লবের দাবিগুলো বাস্তবায়িত হলে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস এদেশে কোনো দরকার নেই। অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা। তারা এই অফিসের মাধ্যমে বিদেশি হস্তক্ষেপ ও সামাজিক-ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত করার ষড়যন্ত্র চলছে বলে দাবি করেন।
হেফাজত নেতারা আরও বলেন, ২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর শাপলা চত্বরে গণহত্যার ঘটনায় আজও জাতিসংঘ কোনো বিবৃতি দেয়নি। অথচ আজ তারা বাংলাদেশে অফিস খুলতে যাচ্ছে। অতীতে বিভিন্ন সংস্থা ইসলামী শরিয়া, মুসলিম পারিবারিক আইন এবং সামাজিক নীতিতে হস্তক্ষেপ করেছে। এখন এলজিবিটি এজেন্ডাও জাতিসংঘের মানবাধিকার দর্শনের অন্তর্ভুক্ত।তারা দাবি করেন, বাংলাদেশকে নতুন যুদ্ধক্ষেত্র বানানোর আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না।একই সঙ্গে তারা সরকারকে সতর্ক করে বলেন, এ চুক্তি অবিলম্বে বাতিল না করলে দেশের ওলামায়ে কেরাম এবং ইসলামপন্থিরা মাঠে নামবে।

আরও পড়ুন