আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জনশক্তি রফতানিতে মালয়েশিয়াকে বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার বলা হলেও দেশটিতে অফিসিয়ালি কর্মী পাঠানো যাচ্ছে না। দীর্ঘ দিন ধরেই বাংলাদেশসহ বেশ কিছু দেশ থেকে কর্মী নিয়োগ বন্ধ রেখেছে দেশটি। নতুন করে কর্মী না নিলেও যারা বর্তমানে দেশটিতে অবস্থান করছেন এবং অবৈধ হয়ে পড়েছেন তাদেরকে আটক করছে মালয়েশিয়ার আইন শৃংখলা বাহিনী।
দেশটির অভিবাসন বিভাগের চালানো সমন্বিত টার্গেটেড স্টাইক অপারেশন অভিযানে সাড়ে ৪০০ বাংলাদেশি অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। গত কয়েক দিনের অভিযানে তাদের আটক করা হয়েছে বলে দেশটির গণমাধ্যমে খবর এসেছে।খবরে বলা হয়, অভিযানের সময় আটক এড়াতে অনেকেই পালানোর চেষ্টা করেন। কেউ পালাতে পেরেছেন আবার অনেকে আটক হয়েছেন।
গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, অভিবাসন সংক্রান্ত বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে ১২৭০ জন বিদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে। একইসঙ্গে অবৈধ অভিবাসিদের নিয়োগ ও আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে ১১ জন মালয়েশিয়ান নিয়োগ কর্তাকেও আটক করা হয়েছে। এ অভিযানের সবচে বড় অভিযানটি হয় মালয়েশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয জেলা জোহরের পাঁচটি জেলায় একযোগে পরিচালিত টার্গেটেড স্ট্রাইক অপারেশন নামে বড় পরিসরে অভিবাসন অভিযানে ৩৩০ বিদেশি শ্রমিককে আটক করা হয়েছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় জোহর বারু, মুআর, সেগামাত, মেরসিং এবং বাতু পাহাটে একযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়।জোহর বারু অভিবাসন বিভাগের পরিচালক দাতুক মোহদ রুসদি দারুস দেশটির গণমাধ্যমে দেওয়া এক স্বাক্ষাতকারে বলেছেন, পরিদর্শনের ভিত্তিতে আমরা ২৩৯ জন বাংলাদেশি পুরুষ, ৬৫ জন ইন্দোনেশিয়ান, ২৪ জন মিয়ানমারের নাগরিক, একজন পাকিস্তানি এবং একজন ভিয়েতনামি নাগরিককে বিভিন্ন অপরাধে আটক করেছি। আটককৃতদের বয়স ২০ থেকে ৫৭ বছরের মধ্যে। অভিযান চালানো হয়, জালান কুচিং এলাকা, কেলান্তান, তেরুঙ্গান, লাবুয়ান, পাহাং, পেরাক, সাইবারজায়া, কেদাহ, নেগেরি সেমবিলান, সেলাঙ্গর, পেনাংসহ বেশ কিছু এলাকায়। আটককৃতদের ১৯৫৯/৬৩ সালের অভিবাসন আইন এবং ১৯৬৩ সালের অভিবাসন বিধিমালার আওতায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি রপ্তানি বন্ধ রেখেছে মালয়েশিয়া। যদিও চলতি মাসে জয়েন্ট ওয়াকিং গ্রুপের বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকে জনশক্তি রফতানি চালু করার বিষয়ে দুই দেশের সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। দেশের বেসরকারি জনশক্তি রফতানিকারকরাও সেই অপেক্ষায়। অতীতের সিন্ডিকেট সিস্টেম দূর করে অভিবাসন খরচ কমিয়ে এনে কিভাবে শ্রমবাজারটি চালু করা যায় সে বিষয়ে উদ্যোগী হতে সরকারের প্রতি আহ্বান তাদের।
