২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ব্যাটারি রিকশা নালায়, শিশু নিখোঁজ

নিজস্ব প্রতািবেদক: ছয় মাসের শিশু সেহরিশকে কোলে নিয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশা করে যাচ্ছিলেন মা সালমা বেগম। গত রাত সাড়ে ৮টার দিকে রিকশাটি চকবাজার থানাধীন কাপাসগোলা এলাকার নবাব হোটেলের পাশের গলিতে উল্টে হিজড়া খালে পড়ে যায়। রিকশায় শিশুটির দাদিও ছিলেন। স্থানীয়রা খাল থেকে তাৎক্ষণিক শিশুটির দাদি ও মাকে উদ্ধার করলেও শিশুটিকে উদ্ধার করতে পারেনি। সর্বশেষ রাত ১২টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। নিখোঁজ শিশু সেহরিশ আছদগঞ্জের শুঁটকিপট্টি এলাকার মো. শহিদ ও সালমা বেগম দম্পতির মেয়ে।
জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার রাত সোয়া ৮টার দিকে কাপাসগোলায় শিশু সেহরিশের ফুফুর বাসায় যাওয়ার জন্য আছদগঞ্জের শুঁটকিপট্টি এলাকা থেকে রওনা দেন শিশুর মা ও দাদি। কাপাসগোলা নবাব হোটেলের পাশের গলিতে বৃষ্টির কারণে হাঁটু পানি জমে যায়। ফলে তারা সিএনজিচালিত ট্যাক্সি থেকে নেমে একটি ব্যাটারি রিকশা করে গলিতে যাওয়ার সময় রিকশাটি উল্টে যায়। এ সময় সেহরিশ, তার মা ও দাদি তিনজনই হিজড়া খালের পানিতে তলিয়ে যায়। স্থানীয় ও পথচারীরা সেহরিশের মা ও দাদিকে উদ্ধার করতে পারলেও সেহরিশকে উদ্ধার করতে পারেনি। পরবর্তীতে রাত সোয়া ১০টার দিকে চসিকের এক্সকেভেটরের সহায়তায় ব্যাটারি রিকশাটি খাল থেকে উদ্ধার করা হয়।
এদিকে শিশু নিখোঁজের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, বেপরোয়া গতিতে রিকশা চালানোর কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। রিকশাটি গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে উল্টে হিজড়া খালে পড়ে যায়। আমাদের সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা ফায়ার সার্ভিসের সাথে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। এ সময় মেয়র বলেন, শিশুটিকে যারা উদ্ধার করতে পারবে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে তাদের ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। অপরদিকে গতকাল সন্ধ্যায় নগরীসহ আশপাশের এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে। প্রথমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়, কিছুক্ষণের মধ্যেই তা হালকা থেকে মাঝারি ধরনে রূপ নেয়। এতে চট্টগ্রাম নগরীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
পতেঙ্গার প্রধান আবহাওয়া কার্যালয়ের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মো. ইসমাইল ভূঁইয়া জানান, চট্টগ্রামসহ আশপাশের এলাকায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দমকা–ঝড়ো হাওয়াসহ আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার, যা বেড়ে ২৫ থেকে ৩৫ কিলোমিটার বা আরও অধিক বেগে প্রবাহিত হতে পারে। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের জন্য কোনো সতর্কতা না থাকলেও নৌবন্দরের জন্য এক নম্বর সতর্ক সংকেত জারি আছে।

আরও পড়ুন