অনলাইন ডেস্ক : ভারতের মধ্য প্রদেশের আগার মাওলা জেলার সুসনার শহরের একটি দোকানের কর্মচারী ছিলেন ৪৫ বছর বয়সী রফিক খান। তিরুপাতি ট্রেডার্স নামের ওই দোকানে কাজ করার সময় হঠাৎ শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা শুরু হলে চেয়ারে বসে কাতরাতে থাকেন তিনি।তার পাশের চেয়ারে বসেই ফোন চালাচ্ছিলেন দোকানের মালিক, কিন্তু কর্মীর স্বাস্থ্যের হঠাৎ অবনতি দেখেও ভ্রুক্ষেপ না করে আবারও মন দেন ফোন চালানোর কাজে। এমন অমানবিক পরিস্থিতিতে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান ওই কর্মচারী।
মর্মান্তিক এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, অসহায় ওই কর্মী ছয় মিনিট ধরে বুক চেপে কাতরাচ্ছিলেন। তার একদম পাশেই বসে ফোন চালাচ্ছিলেন মালিক। তিনি দুয়েকবার রফিকের দিকে ফিরে তাকালেও আবার ব্যস্ত হয়ে পড়েন ফোন চালাতে।ছয় মিনিটের ওই ভিডিওতে সাহায্যের জন্য একবারও চেয়ার থেকে উঠতে দেখা যায়নি মালিককে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পরিস্থিতি খারাপ বেশি খারাপ হলে হার্ট অ্যাটাক করেন রফিক। পরে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।সংবাদমাধ্যমটির খবরে উল্লেখ করা হয়, এ ঘটনায় মালিকের বিরুদ্ধে সুসনার থানায় অভিযোগ করে ভুক্তভোগীর পরিবার।এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা থানার সামনে জড়ো হয়ে এমন অমানবিক ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিচার দাবি করেন।
রফিকের পরিবার এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানায়, কর্মস্থলে যাওয়ার পর থেকেই ব্যথায় কাঁদছিলেন রফিক। মালিক, কর্মকর্তাদের জানালেও তারা কর্ণপাত করেননি। উপরন্তু অতিরিক্ত কাজের বোঝা চাপিয়ে দেন। এ কারণেই হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা ঘটে।
