২৩শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

পূজার বন্ধে ৪ জোড়া বিশেষ ট্রেন

অনলাইন ডেস্ক: শারদীয় দুর্গাপূজার বন্ধে স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াতের জন্য ৪ জোড়া ‘পূজা স্পেশাল’ ট্রেন পরিচালনা করবে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল। ঢাকা-কক্সবাজার ও ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে বিরতিহীন এসব ট্রেন চলবে। যাত্রীদের বিপুল চাহিদা মেটাতে রেলওয়ের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে আগামী ১ অক্টোবর বুধবার ও ২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার নির্বাহী আদেশে ছুটি রয়েছে। এরপর ৩ ও ৪ অক্টোবর শুক্র ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটির কারণে টানা চারদিনের সরকারি ছুটি পাচ্ছেন কর্মজীবীরা। ফলে এবার পূজার লম্বা বন্ধে ঘোরাঘুরি কিংবা প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটাতে যাতায়াতের জন্য ট্রেনে মানুষের চাপ থাকবে বেশি।

বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে সবচেয়ে ব্যস্ততম ও লাভজনক রেলপথ ঢাকা-কক্সবাজার ও ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ৪ জোড়া বিশেষ ট্রেন সার্ভিস চালানোর পদক্ষেপ নেয়। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ৩ জোড়া এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ১ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে।

সূত্র জানায়- আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে ঢাকা স্পেশাল ট্রেন পরিচালনা করা হবে। বিরতিহীন এই ট্রেন ওই দিন দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। পৌঁছাবে রাত ৮টায়। একই দিন রাতে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে পরিচালনা করা হবে ট্যুরিস্ট স্পেশাল ট্রেন-১০০২। বিরতিহীন ট্রেনটি রাত সাড়ে ১০টায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। পৌঁছাবে পরদিন সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে।

১ অক্টোবর কক্সবাজার-ঢাকা রুটে পরিচালনা করা হবে ট্যুরিস্ট স্পেশাল ট্রেন-১০০১। বিরতিহীন ট্রেনটি সকাল সাড়ে ১১টায় কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। পৌঁছাবে রাত ৮টায়। একই দিন রাতে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে পরিচালনা করা হবে ট্যুরিস্ট স্পেশাল ট্রেন-১০০২। রাত সাড়ে ১০টায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে কক্সবাজার পৌঁছাবে পরদিন সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে।২ অক্টোবর কোনো স্পেশাল ট্রেন চলবে না। ৩ অক্টোবর কক্সবাজার-ঢাকা রুটে পরিচালনা করা হবে ট্যুরিস্ট স্পেশাল ট্রেন-১০০১। বিরতিহীন ট্রেনটি সকাল সাড়ে ১১টায় কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। পৌঁছাবে রাত ৮টায়। একই দিন রাতে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে পরিচালনা করা হবে ট্যুরিস্ট স্পেশাল ট্রেন-১০০২। রাত সাড়ে ১০টায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে কক্সবাজার পৌঁছাবে পরদিন সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে।

এরপর ৪ অক্টোবর কক্সবাজার-ঢাকা রুটে পরিচালনা করা হবে ট্যুরিস্ট স্পেশাল ট্রেন-১০০১। বিরতিহীন ট্রেনটি সকাল সাড়ে ১১টায় কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। পৌঁছাবে রাত ৮টায়। একই দিন ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চট্টগ্রাম স্পেশাল ট্রেন পরিচালনা করা হবে। বিরতিহীন এই ট্রেন রাত সাড়ে ১০টায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। পৌঁছাবে ভোর রাত সাড়ে ৪টায়।

প্রতিটি স্পেশাল ট্রেনে ১৮টি বগি থাকবে। দিনে চলাচলের সময় আসন সংখ্যা থাকবে ৮৩৪টি। আর রাতে চলাচলের সময় আসন সংখ্যা কমে দাঁড়াবে ৭৮৯টি। ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটের স্পেশাল ট্রেনের ভাড়া হবে সুবর্ণ বা সোনার বাংলার ভাড়ার মতো। অন্যদিকে, ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা রুটের স্পেশাল ট্রেনের ভাড়া হবে কক্সবাজার বা পর্যটক এক্সপ্রেসের মতো। তবে এসি সিটের জন্য বাড়তি ৩০ শতাংশ এবং নন এসি সিটের জন্য বাড়তি ২০ শতাংশ টাকা গুণতে হবে যাত্রীদের।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ডেপুটি চিফ অপারেটিং সুপারিন্টেনডেন্ট তারেক মুহাম্মদ ইমরান জানান, ১ থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারি বন্ধে অতিরিক্ত যাত্রী চাহিদার প্রেক্ষিতে ঢাকা-কক্সবাজার এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে স্পেশাল ট্রেন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপদ ও আনন্দময় ভ্রমণ নিশ্চিত করতে রেলওয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

 

আরও পড়ুন