অনলাইন ডেস্ক: ভোলায় মামলার ভয় দেখিয়ে পুলিশের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগে জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্সের দুই নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক সালেহ মাহমুদ রায়হান ও সদস্যসচিব ফয়সাল মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে বুধবার বিকেলে তাদের দুজনকে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ।বহিষ্কৃত দুই নেতা হলেন- সংগঠনটির ভোলা জেলার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাকিব হোসেন (৩০) ও সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব হাসান মুনতাছির রহমান (২০)।
রাকিব সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের আবুল খায়েরের ছেলে ও হাসান মুনতাছির একই ইউনিয়নের মিজানুর রহমানের ছেলে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভোলা জেলা কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাকিব হোসেন ও সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব হাসান মুনতাছির রহমানের বিরুদ্ধে সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যকালাপের জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ কারণে সংগঠনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের স্থায়ীভাবে (আজীবন) সব পদ ও দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করা হলো। জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স একটি অরাজনৈতিক বিপ্লবী সংগঠন।সংগঠন সর্বদা শৃঙ্খলা, নৈতিকতা ও ন্যায়ের পক্ষে এবং কোনো প্রকার অনৈতিক কার্যকলাপকে সমর্থন করে না।
ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রিপন চন্দ্র সরকার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ১৯ জুন পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে আল আমিন নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরদিন আল আমিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে ভোলা থানায় একটি চুরির মামলা করেন। এ মামলার ভয় দেখিয়ে বাপ্তা ইউনিয়নের শেখ ফরিদ নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে তার নাতি জিতু জড়িত আছে এবং পুলিশকে ম্যানেজ করার নাম দিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।এমনকি তারা এ টাকার জন্য শেখ ফরিদের বাড়িতে গিয়ে বারবার চাপ প্রয়োগ করলে গত ৩ আগস্ট তাদের দেড় লাখ টাকা দেন শেখ ফরিদ।
তিনি আরো জানান, পরবর্তী সময়ে আবারও শেখ ফরিদের বাড়িতে গিয়ে আরো ১০ হাজার টাকা নেন তারা। এরপর আবার পুলিশের কথা বলে আরো ২০ হাজার টাকা দাবি করলে বিষয়টি জিতুর পরিরের কাছে সন্দেহ হয়। পরে ভোলা থানায় এসে এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে রাকিব ও মুনতাছিরের বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজি মামলা করেন। এ মামলার আলোকে গতকাল বুধবার সকালে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত মো. রাকিব ও হাসান মুনতাছির রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।তাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির মোট এক লাখ ৬০ হাজার টাকার মধ্যে ২০ হাজার টাকাও উদ্ধার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন চন্দ্র সরকার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশের কাছে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। পরবর্তী সময়ে তাদের চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
