১৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ছুটির দিনে বন্দর চালু : সুফল মিলছে না ৪ কারণে

নিজস্ব প্রতিবেদক : চার কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে ফের কনটেইনার জটের সৃষ্টি হচ্ছে। একই কারণে ছুটির দিনে বন্দর চালু রাখার সুফল মিলছে না। মূলত, শুল্ক সফটওয়্যার ‘এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড’ দীর্ঘদিন ধরে প্রায়ই বিকল থাকা, শুক্রবার-শনিবার কাস্টম হাউস খোলা রাখা হলেও ব্যাংক ও শিপিং লাইন বন্ধ থাকা, বিল অব এন্ট্রি দাখিল ব্যাহত হওয়ায় শুল্কায়ন বিলম্বিত হওয়া, ব্যবসায়ীদের ওপর বাড়তি জরিমানা ও চার্জ চাপানোর কারণে ছুটির দিনেও বন্দর চালু রাখার সুফল পাওয়া যাচ্ছে না, উপরন্তু বন্দরে কনটেইনারের চাপ বেড়েই চলেছে। সাম্প্রতিক কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কলম বিরতির পর এবার যুক্ত হয়েছে ‘এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড’ শুল্ক সফটওয়্যারে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা। এর ফলে অনলাইনে বিল অব এন্ট্রি দাখিল, শুল্কায়ন এবং পণ্য খালাস কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সিদ্ধান্ত নেয় সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার ও শনিবার চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস খোলা রাখার। তবে এতে কাক্সিক্ষত সুফল মেলেনি। সেবা গ্রহীতারা বলছেন, কাস্টমস খোলা থাকলেও ব্যাংক, শিপিং লাইন ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অফিস ছুটির দিনগুলোতে বন্ধ থাকায় কার্যক্রমে কোনো বাস্তব অগ্রগতি ঘটেনি।
চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারকারী একাধিক সিএন্ডএফ এজেন্ট অভিযোগ করে বলেন, সার্ভারে সমস্যা গত ছয়-সাত মাস ধরেই চলছে। অথচ কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কিংবা শীর্ষ মহলে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই। এতে আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের প্রতিনিয়ত আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম সাইফুল আলম বলেন, ধর্মঘটের পর সার্ভার সমস্যা এবং একের পর এক প্রশাসনিক জটিলতায় পণ্য চালান বন্দরে আটকে রয়েছে। এই অবস্থায় ব্যবসায়ীদের জরিমানা দেওয়া অনৈতিক। তাই আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, যেন এই জরিমানা মওকুফ করা হয় এবং বন্দরের চার্জও আরোপ না করা হয়। ব্যবসায়ী মহলের ভাষ্যমতে, বর্তমান সংকট কেবল বাণিজ্যিক ক্ষতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এটি আন্তর্জাতিক লেনদেনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
চট্টগ্রাম বন্দরে দ্রুত শুল্কায়ন ও খালাস প্রক্রিয়া স্বাভাবিক করতে সফটওয়্যার সংস্কার, আন্তঃপ্রতিষ্ঠান সমন্বয় এবং নীতিগত হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা।

আরও পড়ুন