১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চাকসু নির্বাচন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে শিবিরের শঙ্কা

চবি প্রতিনিধি: অধিকাংশ ‘বিএনপিপন্থী’ শিক্ষক নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন কমিশন গঠনের অভিযোগ করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। এর ফলে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকবে কী না তা নিয়ে শঙ্কায় আছে সংগঠনটি। বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে চাকসু নির্বাচন নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছেন চবি শাখা ছাত্রশিবিরের নেতারা।
লিখিত বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, নির্বাচন কমিশনের অধিকাংশ সদস্যই সরাসরি একটি বিশেষ দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকাবস্থায় নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে আমরা শঙ্কিত। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক জাহিদুর রহমান চৌধুরী যিনি প্রকাশ্যে ছাত্রশিবিরসহ তার মতাদর্শ বিরোধী সকলের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ পোষণ করেন। এমন একজন শিক্ষক নির্বাচন কমিশনে থাকলে সেই নির্বাচন সুষ্ঠ হওয়া সম্ভব নয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ করতে হবে।
মোহাম্মদ আলী বলেন,নির্বাচন কমিশনে ৬০ শতাংশ সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষক, যেটি গভীরভাবে নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এ অবস্থায় নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে আমরা আশঙ্কা প্রকাশ করছি। নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষদের দিয়ে ঢেলে সাজাতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রশিবির নেতারা চাকসুর গঠনতন্ত্রে সভাপতি হিসেবে উপাচার্যের একচ্ছত্র ক্ষমতার কারণে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন। চাকসু গঠনতন্ত্র সংস্কারের মাধ্যমে সম্পাদকীয় পদ দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।
ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের বিচার না করায় তারাও ক্যাম্পাসে অবাধ বিচরণ করছে এবং নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছে বলে অভিযোগ ছাত্রশিবিরের। তারা মনে করে, জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী ক্যাম্পাসের জন্য এর চেয়ে লজ্জাজনক কিছু হতে পারে না। দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. আল আমিন ন্যূনতম বিচার না করে জুলাইয়ের সঙ্গে বেঈমানি করেছেন বলেও মন্তব্য করে সংগঠনটি।
সবশেষে ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দেওয়া শিক্ষার্থীদের প্রসঙ্গে শিবির জানায়, মানবিক বিবেচনায় ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দেওয়া শিক্ষার্থীদের এই সুযোগ একাডেমিক পরিসর পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রাখা যেতে পারে। অন্যথায় এটি প্রমাণিত হবে যে, শুধুমাত্র চাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতেই তাদের ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর সেটি ছাত্রসমাজ কোনোভাবেই মেনে নেবে না।
সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন রনি, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সেক্রেটারি মোহাম্মদ পারভেজ, অর্থ সম্পাদক হাসান মোজাহিদ ও প্রচার সম্পাদক ইসহাক ভূঁঞাসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন