২৩শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চসিক’র সাড়ে তিন কোটি টাকা আত্মসাত,কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) হিসাব বিভাগে কর্মরত তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক চিঠিতে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিটি কর্পোরেশন-২ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, জাইকার আওতায় সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের সিরাজউদ্দৌলা রোড শাখায় পরিচালিত হিসাব (হিসাব নম্বর–০১০১৮৩৬০০০১০৩) থেকে মেয়র, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অনুকূলে জমা দেওয়ার জন্য ইস্যুকৃত চেকটি ভাউচার পরিবর্তন করে অন্যভাবে ব্যবহার করা হয়। এতে ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৩ হাজার ৫২৭ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের বাণিজ্যিক এলাকা কর্পোরেট শাখা, আগ্রাবাদের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা দায়ের করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। এছাড়া অপরাধ সংঘটনের সময় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংকের আরও একজন কর্মকর্তা এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের হিসাব বিভাগের তিন কর্মকর্তা/কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে দুদক।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. ফিরোজ মাহমুদের স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক বিষয়টি দ্রুততম সময়ের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন ও স্থানীয় সরকার বিভাগকে জানাতে হবে। দুদকের ২০২৪ সালের ১৩ জুনের পত্রের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
সেই অভিযোগপত্রে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা আত্মসাৎ ঘটনার সময় দায়িত্বে অবহেলার কারণে চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির চৌধুরী, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (বিল) আশুতোষ দে ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (বাজেট) মাসুদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে দুদক।
তবে এর মধ্যেই গত ২৯ সেপ্টেম্বর চসিকের সংস্থাপন শাখা মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির চৌধুরীকে প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি দেয়। পদোন্নতির আদেশে স্বাক্ষর করেন চসিক সচিব (ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) মোহাম্মদ আশরাফুল আমীন।
পদোন্নতির এক সপ্তাহ না পেরোতেই ৫ অক্টোবর সেই আদেশ বাতিল করে চসিক। মেয়রের অনুমোদনক্রমে জারিকৃত নতুন অফিস আদেশে বলা হয়, পদোন্নতির ৩ নম্বর শর্ত অনুযায়ী, প্রাপ্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো বিরূপ তথ্য পাওয়া গেলে কর্তৃপক্ষ পদোন্নতি বাতিল বা সংশোধন করতে পারবে সে অনুযায়ী আদেশটি বাতিল করা হলো।এরপরদিনই দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে অভিযুক্ত তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার বিভাগ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়।

 

আরও পড়ুন