নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম বন্দরে নিলামে কেনা প্রায় দেড় কোটি টাকার কাপড়ের দুটি কনটেইনার গায়েবের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই বিষয়ে রোববার দুদকের একটি টিম বন্দর চেয়ারম্যান, কাস্টম হাউসের কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলছেন।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম থেকে ৮৫ লাখ টাকায় প্রায় ২৭ টন কাপড় কেনেন শাহ আমানত ট্রেডিংয়ের মালিক সেলিম রেজা। নিলামের আগে বন্দরের ইয়ার্ডে থাকা কনটেইনারে পণ্যও পরিদর্শন করেন তিনি। এরপর পণ্য ডেলিভারি নিতে মূল্য, শুল্ককর ও বন্দরের চার্জসহ এক কোটি ৭ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। অথচ ২৬ ফেব্রুয়ারি ট্রাক নিয়ে বন্দরের ইয়ার্ডে গেলে দিনভর খোঁজাখুঁজি শেষে জানানো হয় কনটেইনারটি পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনায় তারা কাস্টম হাউসের কমিশনার বরাবর তিনটি চিঠি দিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটির কোটি টাকা আটকে আছে ৭ মাস।
বিডার ইয়াকুব চৌধুরীর পার্টনার তপন সিংহ অপর এক নিলামে পাওয়া কাপড়ের কনটেইনার খালাস করতে গেলে খোঁজ মেলেনি সেটিরও। ৩৫ লাখ ৫১ হাজার টাকা দর হাঁকার পর ৪২ লাখ টাকা জমা দেন কাস্টম হাউসে।
জানতে চাইলে দুদকের সহকারী কমিশনার সৈয়দ ইমরান বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ ছিল দুইজন বিডার কাস্টম হাউস থেকে নিলামে পণ্য কিনেছেন। কেনার আগে তারা ইয়ার্ডে পণ্য দেখে এসেছেন। সব চার্জ পরিশোধ করে ডেলিভারির জন্য গেলে জানানো হয়- কনটেইনারগুলো পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর তারা বন্দর ও কাস্টমসে আবেদন করেছেন। তারা এখনো পণ্য বা টাকা ফেরত পান নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এসেছি। বন্দরের চেয়ারম্যান মহোদয়ের সঙ্গে দেখা করেছি।
তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা মেজর আনিসের সঙ্গে কথা বলতে বলেছেন। আমরা তাকে কর্মস্থলে পাইনি। এরপর কাস্টম হাউসের কমিশনার মহোদয়ের সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি নিলাম শাখার কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার জন্য বলেছেন।