অনলাইন ডেস্ক: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, অভ্যুত্থানের পরেও বাংলাদেশকে পুরোনো পদ্ধতিতে চালানোর চেষ্টা চলছে, যা ছাত্র-জনতা মেনে নেবে না। অবিলম্বে সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে।একটি জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে হবে, যেখানে মানুষের সব অধিকার নিশ্চিত হবে। ফ্যাসিস্ট সরকারের গণহত্যা ও অপকর্মের বিচার করতে হবে।
রোববার (২৭ জুলাই) দুপুরে নেত্রকোনার পুরাতন কালেক্টরেট ভবনের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে পথসভায় তিনি এ কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ২০২৪ সালে ছাত্র জনতা ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটিয়েছে। কিন্তু যে আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে স্বৈরাচারকে উৎখাত করা হয়েছিল, তা এখনও পূরণ হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদকে উৎখাত করেছি। এখন গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক সংস্কারের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই। এজন্য আমরা মানুষের কাছে যাচ্ছি, তাদের মতামত শুনছি।আগামী ৩ আগস্ট ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিচার, সংস্কার ও নতুন বাংলাদেশ গঠনের দাবিতে সবাইকে সমবেত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সভায় এনসিপির মূখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। আমাদের শরীরে একবিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত কোনো ষড়যন্ত্র সহ্য করবো না। তিনি অবিলম্বে সীমান্ত হত্যা বন্ধেরও দাবি জানান।
পথসভায় আরও বক্তব্য দেন- উত্তরাঞ্চলের মূখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, কেন্দ্রীয় সংগঠক প্রীতম সোহাগ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফাহিম রহমান খান পাঠান, রুহুল আমিন আইনি। এছাড়াও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন-হাসনাত আবদুল্লাহ, সামান্তা শারমিন, আরিফুল ইসলাম আদিব, এহতেসামুল হক, মনিরা শারমিন, অর্পিতা শ্যামা দেব, ডা. জাহেদুল ইসলাম, আবু বাকের মজুমদার, মারুফ আল হামিদ, জাকারিয়া ইমন প্রমুখ।
