অনলাইন ডেস্ক: সরকারি কাজে বাধা ও বেআইনি সমাবেশের অভিযোগে পল্টন থানার মামলায় দণ্ডিত জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে জামিনের আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী সাদেকুল ইসলাম ভুঁইয়া (জাদু) বলেন, শহিদুল ইসলাম বাবুল আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করেছিলেন।আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। আমরা উচ্চ আদালতে তার জামিন আবেদন করব। আশা করছি, আদালত তার জামিন মঞ্জুর করবেন।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কক্সবাজার সফর শেষে গুলশানে ফিরে আসেন।এ সময় দলের নেতাকর্মীরা পল্টন এলাকায় সরকারবিরোধী স্লোগান দেন। ভিআইপি রোড বন্ধ করে ভাঙচুরের চেষ্টা চালান। এ ঘটনায় পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল ওইদিনই মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১৯ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা একই থানার উপপরিদর্শক আতাউর রহমান।বিচার প্রক্রিয়া শেষে ২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর আদালত এ মামলায় রায় ঘোষণা করেন। রায়ে শহিদুল ইসলাম বাবুলকে দোষী সাব্যস্ত করে এক ধারায় আড়াই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আরেক ধারায় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে সাত দিনের কারাদণ্ড দেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় তিনি পলাতক ছিলেন। এজন্য আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেন।
