অনলাইন ডেস্ক : প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সেখানে অবস্থানরত সাংবাদিকদের অনেকেই মারা যেতে পারতেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-নোয়াব-এর সভাপতি এ কে আজাদ। তিনি বলেন, ‘আর ১৫ মিনিট আগুন জ্বললেই ধোঁয়ায়, অক্সিজেনের অভাবে অনেকে মারা যেতে পারতেন। হামলার আগে সরকারের কাছে সুরক্ষা চেয়েও পাননি দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম।’সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘মব ভায়োলেন্সে আক্রান্ত বাংলাদেশ’ শিরোনামে যৌথ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছে নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-নোয়াব ও সম্পাদক পরিষদ।
প্রতিবাদ সভায় নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, ‘আজ সবাই একটা কথাই বলেছেন যে, আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে এর প্রতিরোধ গড়তে হবে। আমি একটা ঘটনা বলতে চাই। এখানে দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম আছেন। যখন প্রথম আলোয় আগুন দেওয়া হয়, তখন মাহফুজ আনাম ভেবেছিলেন, এরপর ডেইলি স্টারে হামলা হতে পারে।
উনি সরকারের এমন কোনো সংস্থা নাই, এমন কোনো ব্যক্তি নাই যার কাছে অনুরোধ করেন নাই যে ডেইলি স্টারের সামনে প্রটেকশন দেন। কিন্তু উনি কোনো সাহায্য বা সাড়া পাননি। যখন পেয়েছেন তখন পুরো ভবন পুড়ে গেছে।’তিনি বলেন, ‘ওই ভবনে থাকা এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, সেখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ছিল।
তাদের সামনে দিয়েই লুটপাট চলেছে। তাদের সামনে দিয়ে মাথায় চেয়ার নিয়ে চলে যাচ্ছে, কম্পিউটার মাথায় নিয়ে চলে গেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কোনো বাহিনীর কেউ কোনো প্রতিবাদ করছে না। মাহফুজ ভাইকে যখন জিজ্ঞেস করলাম, কতজন সাংবাদিক ভেতরে আটকা পড়েছে, উনি বললেন ২৮/২৯ জন। আর ১৫ মিনিট আগুন জ্বললেই ধোঁয়ায়, অক্সিজেনের অভাবে অনেকে মারা যেতে পারত।’
এ কে আজাদ আরো বলেন, ‘আমরা এইভাবে মারা যেতে চাই না। আমাদের কণ্ঠকে এইভাবে স্তব্ধ করা যাবে না। সেই লক্ষ্যে আপনাদের মতামতের ভিত্তিতে আমরা সারা বাংলাদেশের সাংবাদিককে নিয়ে জানুয়ারির মাঝামাঝি একটা মহাসম্মেলন করব। সেই মহাসম্মেলনের মাধ্যমে আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব। এর মধ্যে আমরা আশা করব, প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ছায়ানট, উদীচীতে যারা আগুন দিয়েছে সরকার তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবে। তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত, সাংবাদিকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত রাখব।’





