নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম মহানগরের স্থানীয় মানুষের বসতি বৃহত্তর বাকলিয়া বেশি। চট্টগ্রামে ১৯৭৮ সালের পর থেকেই এই বাকলিয়া বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে অধিক পরিচিত। বাকলিয়ার ভোটেই এ পর্যন্ত ১৯৯১, ২০০১সালে এ আসন থেকে বিএনপির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রী পর্যন্ত হয়েছে। চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া-আংশিক ডবলমুরিং) আসনের ভাগ্য নির্ধারণ হয় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই স্থানীয় ভোটারদের ভোটে। ২০০৮ সালের সেনা সমর্থিত সরকারের নিয়ন্ত্রানাধীন নির্বাচনে তৎকালীন চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি’র মনোনীত চারদলীয় জোটের প্রার্থী ছিলেন ঐতিহ্যবাহী শিল্পগোষ্ঠী ইলিয়াস ব্রাদাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিল্পপতি আলহাজ্ব মোঃ শামসুল আলম। এই নির্বাচনে বিএনপির পক্ষে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়ার পরও নিয়ন্ত্রিত সেনা সমর্থিত সরকার তাকে জয়লাভ করতে সুযোগ দেয় নি। এবং পরবর্তীতে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর আলহাজ্ব শামসুল আলম এবং তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি সাধন করেছেন। একমাত্র অপরাধ তিনি বিএনপি থেকে নির্বাচন করেছেন। উল্লেখ্য যে, ইলিয়াস ব্রাদাসের পরিবার স্বাধীনতা পরবর্তীতে সারা বাংলাদেশে একটি ঐতিহ্যবাহী ব্যবসায়িক ও দানবীর হিসেবে অধিক পরিচিত। এই ঐতিহ্য পরিবারের সদস্য হিসেবে আলহাজ্ব শামসুল আলম ডজন খানেক রাজনৈতিক মামলা সহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অর্থ শতাধিক মামলায় জড়িয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন। ৫ আগস্ট পরবর্তীতে এ চট্টগ্রাম-৯ আসনে বিএনপির পক্ষ থেকে আলহাজ্ব শামসুল আলম ব্যাপক সামাজিক কাজকর্ম সহ রাজনৈতিক সকল কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে আসছে। চট্টগ্রাম-৯ আসনের বিএনপির প্রার্থী হিসেবে তিনি যোগ্য ও ত্যাগী। সে হিসেবে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম বাসীর কল্যাণে কাজ করার জন্য তাকে মনোনীত করার জন্য বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বৃহত্তর চট্টগ্রামের ১৫টি সংগঠন। সংগঠনগুলো যথাক্রমে ঃ চট্টগ্রাম সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট, চট্টগ্রাম ক্রীড়াঙ্গণ বাঁচাও আন্দোলন, সেইভ দ্যা খাতুনগঞ্জ, খাতুনগঞ্জ তৃণমূল ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী সমিতি, চট্টগ্রাম বাইন্ডিং শ্রমিক এসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম পোশাক শ্রমিক সংগঠন, চট্টগ্রাম অটো রিক্সা চালক সমিতি, চট্টগ্রাম কচি-কাচার মেলা, চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদ, কর্ণফুলী নদী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ, চট্টগ্রাম ফার্নিচার শিল্প শ্রমিক সংগঠন, চট্টগ্রাম বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কল্যাণ পরিষদ, চট্টগ্রাম ইমাম মোয়াজ্জিম কল্যাণ ফোরাম, সিআরবি রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার।





