অনলাইন ডেস্ক : আবারও শিশুখাদ্য নিয়ে ভয়াবহ তথ্য প্রকাশ করলেন বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম।সম্প্রতি বিএসটিআইয়ের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে তিনি এসব তথ্য প্রকাশ করেন।ফেরদৌস আলম কয়েকটি চকোলেটের প্যাকেট হাতে নিয়ে বলেন, “যেগুলো আপনি সামনে দেখতে পাচ্ছেন, এগুলো সবই বাচ্চাদের প্রলুব্ধ করার মতো চকোলেট। সুন্দর মোড়ক দেখে মনে হবে, ‘এটি তো বিদেশি চকোলেট’।বাবা-মারা বাহির থেকে আসার সময় সন্তানের জন্য এমন চকোলেট কিনে আনেন। মোড়ক দেখে মনে হয়, খুব উন্নত মানের প্যাকেজিং।”এ সময় তিনি সামনের টেবিলের বিভিন্ন চকোলেটের প্যাকেট দেখিয়ে বলেন, ‘এসব চকোলেট ও মোড়কগুলো ভিজিল্যান্স কার্যক্রমের মাধ্যমে ময়েজ ফুড প্রাইভেট লিমিটেড থেকে জব্দ করা হয়েছে। প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালামাল জব্দ করা হয়েছে, কারখানা সিলগালা করা হয়েছে এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’তিনি একটি চকোলেটের বার দেখিয়ে বলেন, ‘আমার হাতে একটি বার দেখছেন। এটি হলো চকোলেট। কোকো পাউডার, টোস্ট বিস্কুটের গুঁড়ো মিশিয়ে, কিছু চিনি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। আমি এটিকে ভাঙার চেষ্টা করেছি, কিন্তু এত শক্ত! মনে হয়েছিল, ছোটখাটো লোহাও হয়তো তাড়াতাড়ি ভেঙে যাবে।দাঁতে লাগিয়ে কামড়ালেও ভাঙে না। অথচ বিদেশি চকোলেটগুলো খুব মোলায়েম এবং সফট। বাচ্চারা তা খেতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। এ কারণে বলা যায়, এগুলো ফেক প্রডাক্ট—সুন্দর মোড়কে মোড়কজাত করা হয়েছে।’ফেরদৌস আলম জানান, এসব চকোলেটকে গ্রহণযোগ্য দেখানোর জন্য ইম্পর্টেড স্টিকারও লাগানো হয়।তিনি বলেন, ‘যেকোনো মানুষ এগুলো দেখলে নিশ্চয় ভাববে এগুলো ইম্পর্টেড পণ্য। প্রেস থেকে উন্নত মানের প্যাকেট তৈরি করে সিল করে বাজারজাত করা হচ্ছে।’তিনি বলেন, “এসব মানহীন পণ্য তৈরি করে অননুমোদিতভাবে বাজারজাত করা হয় এবং দুই ধরনের মানুষকে প্রতারণা করা হয়। প্রথম হলো কিছু দোকানদার, যারা ভাবেন, ‘আমি হয়তো ইম্পর্টেড পণ্য কিনেছি’, কিন্তু আসলে ফেক পণ্যটি কিনেছেন। দ্বিতীয় হলো সাধারণ ভোক্তা যারা গ্রাহক হিসেবে গ্রহণ করেন।”ফেরদৌস আলম ব্যবসায়ীদের সতর্ক করতে বলেন, ‘এই ধরনের ব্যবসা থেকে বিরত থাকুন।’




