২৩শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে : ফয়েজ আহমদ

অনলাইন ডেস্ক: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, বর্জ্যের শ্রেণীবিভাগ, সমন্বিত ব্যবস্থাপনা এবং জরিমানা ব্যবস্থা প্রবর্তনের পাশাপাশি সমাজের সকল অংশের অংশগ্রহণে টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি সমাজে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা দরকার। জরিমানা ছাড়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ভালো হয় না।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সোমবার চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির অডিটোরিয়ামে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় এবং সিআইইউ ও ইয়ংওয়ান কর্পোরেশনের যৌথ আয়োজনে “পরিচ্ছন্নতা সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, জরিমানা শুরু করলে নগর ব্যবস্থাপনা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমরা একটা মানসম্মত উন্নয়ন দেখতে পাবো। মানুষ ইচ্ছেমতো যেখানে সেখানে বর্জ্য ফেলবে, আর সিটি কর্পোরেশন সারাদিন পরিস্কার করতে থাকবে, এটা অসম্ভব। চট্টগ্রাম আমাদের দেশের একটা ইউনিক শহর। এখানে একটা সচেতন নাগরিক সমাজ আছে। এ নাগরিক সমাজ একেবারে প্রাণবন্ত এবং দায়িত্বশীল। তারা দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেন।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরো বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ শহরাঞ্চলে বর্জ্য ও আবর্জনা ব্যবস্থাপনা একটি অগ্রাধিকারের বিষয় হওয়া উচিত এবং এর সমাধানের জন্য তিনটি মূলনীতি -সহনীয়, পূনঃচক্র ও পূনঃব্যবহার করতে হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার শ্রেণীবিভাগ ছাড়া টেকসই ব্যবস্থাপনা করা সম্ভব নয় ।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে বিশ্ব পরিবেশ দূত হিসেবে উল্লেখ করে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, বর্জ্য ও আবর্জনা প্রশমন ইস্যুতে বাস্তবসম্মত সমাধান না পেলে শূন্য কার্বন নির্গমনের লক্ষ্য- যা তার বহুল আলোচিত “থ্রি জিরো” তত্ত্বের অন্যতম মূল উপাদান – সম্পূর্ণরূপে অর্জন করা সম্ভব নয়। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সিটি কর্পোরেশনকেও নিজেদের আয় বাড়াতে হবে। সিটি কর্পোরেশন হোল্ডিং ট্যাক্স, ব্যবসা বিকাশ সহ নানাখাতে আয় বাড়াতে পারে।
চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এম নুরুল আবসারের সভাপতিত্বে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, ইয়ংওয়ান কর্পোরেশন ও কোরিয়ান ইপিজেড এর চেয়ারম্যান ও সিইও কিহাক সুং, সিআইইউ ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান লুৎফে এম আইয়ুব, বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।অনুষ্ঠানে সিআইইউ বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক ড. মোসলেহ উদ্দিন চৌধুরী নগর পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন । আলোচনা সভা শেষে একটি বণাঢ্য র্যালি বের হয়,যা সিআইইউ ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে শাহ ওয়ালিউল্লাহ ইন্সটিটিউট ও চেরাগী মোড় হয়ে পুনরায় ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়। অনুষ্ঠানে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা এবং শিক্ষক শিক্ষার্থী এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন