অনলাইন ডেস্ক: নরসিংদীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর প্রকাশের জেরে দুই সাংবাদিকের ওপর বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করেছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)।বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে নরসিংদী সদর হাসপাতাল চত্বরে সংঘটিত ওই ঘটনায় সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন সিইউজে সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সবুর শুভ।শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দেয়া এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের ওপর প্রকাশ্য দিবালোকে হামলার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
তথ্যমতে, হামলার শিকার সাংবাদিক আইয়ুব খান সরকার বেসরকারি যমুনা টেলিভিশনের নরসিংদীর স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত। এলোপাতাড়ি কিলঘুষিতে তাঁর মাথা ফেটে গিয়ে চারটি সেলাই দিতে হয়েছে। হামলা ঠেকাতে গিয়ে উপর্যুপরি কিলঘুষি মারা হয় সময় টিভির স্টাফ রিপোর্টার আশিকুর রহমানকেও। এতে তিনিও আহত হন।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভোর পাঁচটার দিকে নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চল আলোকবালী ইউনিয়নের মুরাদনগর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মো. ইদন মিয়া (৬০) নামের একজন নিহত হন। আহত হন আরও অন্তত পাঁচজন। হতাহত ব্যক্তিদের নরসিংদী সদর হাসপাতালে আনা হয়েছিল। ওই ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে সকাল থেকে হাসপাতাল কমপ্লেক্সে অবস্থান করছিলেন আইয়ুব খান সরকারসহ অন্যান্য সাংবাদিকরা। বেলা পৌনে ১১টার দিকে বিএনপির একদল কর্মী যমুনা টিভির সাংবাদিক আইয়ুব খান সরকারকে ঘিরে ধরেন। তাঁরা জানতে চান, যমুনা টিভির সংবাদে ঘটনাটিকে কেন ‘বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ’ বলা হয়েছে। এক পর্যায়ে ‘লিখলি কেন’ ‘এখনই ঠিক কর’ বলে হামলা করা হয় আইয়ুব খান সরকারের ওপর। হামলা ঠেকাতে আসলে আশিকুর রহমানকেও কিলঘুষি মেরে আহত করা হয়। সিইউজে নেতৃবৃন্দ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে এই ধরনের হামলার শিকার হওয়ার ঘটনা সভ্য সমাজে কল্পনাও করা যায় না। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হওয়া রাষ্ট্রের নাগরিকদের চরম নিরাপত্তাহীনতারই বহি:প্রকাশ। এই ধরনের ঘটনা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিৎ। একইসঙ্গে দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করাও রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
