১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ভেঙে দেওয়া হলো নেপালের সংসদ, নির্বাচন মার্চে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভেঙে দেওয়া হয়েছে নেপালের সংসদ। আগামী বছরের মার্চে দেশটিতে নতুন সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউডেল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কির সুপারিশক্রমে সংসদ ভেঙে দেন। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন প্রেসিডেন্টের প্রেস উপদেষ্টা কিরণ পোখরেল।তিনি জানান, ২০২৬ সালের ৫ মার্চ সাধারণ নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।এর আগে শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন নেপালের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। ছোট পরিসরে গঠিত এই মন্ত্রিসভার মেয়াদ থাকবে ৬ মাস। এই সময়ের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করবে তারা।সুশীলার শপথগ্রহণের আগে প্রেসিডেন্ট, সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল এবং চলমান ‘জেন-জি বিপ্লব’ আন্দোলনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একত্রে বৈঠক করেন। সর্বসম্মতিক্রমে তাকে প্রধানমন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।এর মাধ্যমে নেপালের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো নারী অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিলেন।
শপথ নেওয়ার পর আবেগঘন এক মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী কার্কির পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নেন ‘জেন-জি বিপ্লবের’ নেতৃত্ব দেওয়া তরুণ নেতা সুদান গুরুং।এদিকে গত সপ্তাহে জেন-জি বিক্ষোভ প্রাণঘাতী সংঘাতে রূপ নিলেও এর রেশ শুরু হয়েছিল আরও আগে থেকে। হিমালয়ের কোলঘেঁষা দেশটিতে দারিদ্র্য থাকলেও রাজনৈতিক নেতা ও কর্তাব্যক্তিদের সন্তানদের বিদেশে ভোগবিলাস ও রাজকীয় জীবন-যাপন ক্ষোভ তৈরি করছিল।এসব নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগের প্লাটফর্মগুলোতে সমালোচনা ও নিন্দা হতে থাকে। এর সঙ্গে প্রকাশ হতে থাকে সরকারের অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভও।কিন্তু সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কড়াকড়ি আরোপ করে। এই পদক্ষেপ বুমেরাং হয়। উল্টো রাস্তায় নামেন প্রতিবাদকারীরা। তারা ৮ সেপ্টেম্বর পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। বিক্ষোভ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলপ্রয়োগ করলে সেদিনই ১৯ জন নিহত হন। যদি তা এখন পর্যন্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ জনে। ২০১৬ সালে দেশটির প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি হয়েছিলেন সুশীলা কার্কি।

আরও পড়ুন