নিজস্ব প্রতিবেদক: সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রস্তুতি নিচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ। প্রথমবারের মতো সরকারের বিনামূল্যে এই টিকাদান কর্মসূচিতে চট্টগ্রাম জেলা ও সিটি কর্পোরেশন মিলে মোট প্রায় ২২ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, জেলার ১৫ উপজেলা পর্যায়ে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় ১৩ লাখ শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। শুরুতে ১ সেপ্টেম্বর ক্যাম্পেইন শুরুর পরিকল্পনা থাকলেও তা পিছিয়ে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে কার্যক্রম শুরু হবে।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৮ লাখ ১৯ হাজার ৫৯২ জন শিশুকে টিকা দেওয়ার প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিটি কর্পোরেশনের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. খাদিজা আক্তার।
ইপিআই প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান জানান, প্রথম ১০ দিন স্কুল ও মাদ্রাসায় ক্যাম্প করে এবং পরবর্তী ৮ দিন ইপিআই সেন্টারে টিকা দেওয়া হবে। তাই দ্রুত অনলাইনে নিবন্ধনের আহ্বান জানান তিনি।
স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা জানান, টাইফয়েড ভ্যাকসিনের এই এক ডোজের ইনজেকটেবল ভ্যাকসিন শিশুদের ৩ থেকে ৭ বছর পর্যন্ত সুরক্ষা দেবে। গ্যাভি ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের সহায়তায় আনা হয়েছে টিকাটি। যা প্রথমবারের মতো বিনামূল্যে টাইফয়েড টিকা দিচ্ছে সরকার।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানায়, টাইফয়েড স্যালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়, যা সাধারণত দূষিত খাদ্য বা পানি গ্রহণের মাধ্যমে ছড়ায়। এর উপসর্গের মধ্যে রয়েছে দীর্ঘস্থায়ী জ্বর, মাথাব্যথা, বমিভাব, ক্ষুধামন্দা, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া। প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ৯০ লাখ মানুষ টাইফয়েডে আক্রান্ত হয় এবং প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। নিরাপদ পানি ও উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থার অভাবে রোগটি বেশি ছড়ায়। অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে: https://vaxepi.gov.bd/registration/tcv লিঙ্কে, যেখানে ১৭ সংখ্যার জন্ম নিবন্ধন সনদের নম্বর লাগবে।
