১৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রাম অঞ্চলে এনসিপির পদযাত্রা শনি ও রোববার

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী শনিবার থেকে চট্টগ্রাম অঞ্চলে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চলমান পদযাত্রা শুরু হচ্ছে। রোববার চট্টগ্রাম মহানগরীতে পদযাত্রা করবেন এনসিপি নেতাকর্মীরা। এসব কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনীম জারাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে ‘জুলাই পদযাত্রা’ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান এনসিপির চট্টগ্রামের তত্ত্বাবধায়ক জোবাইরুল হাসান আরিফ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলা মিলিয়ে দুইদিনের পদযাত্রা কর্মসূচি চূড়ান্ত করেছে এনসিপি। এর মধ্যে শনিবার (১৯ জুলাই) কক্সবাজারে পদযাত্রার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলে এনসিপির চলমান কর্মসূচি শুরু হবে। ওইদিন কক্সবাজারে কর্মসূচি শেষ করে বিকেলে বান্দরবান যাবেন এনসিপি নেতা-কর্মীরা।বান্দরবানের কর্মসূচি শেষ করে শনিবার রাতেই চট্টগ্রামে আসবেন এনসিপি নেতারা। রোববার (২০ জুলাই) সকালে রাঙামাটির উদ্দেশে নেতাকর্মীরা চট্টগ্রাম ছাড়বেন। দুপুরের মধ্যে রাঙামাটিতে কর্মসূচি শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রাঙামাটিতে কর্মসূচি শেষ করে রোববার বিকেল সাড়ে তিনটার মধ্যে এনসিপি নেতারা চট্টগ্রামে ফিরবেন। সাড়ে তিনটায় চট্টগ্রাম নগরীর কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। সেখান থেকে বহদ্দারহাট, চকবাজার, আন্দরকিল্লা হয়ে নেতাকর্মীরা নিউমার্কেট যাবেন। নিউমার্কেট থেকে টাইগারপাস হয়ে নেতাকর্মীরা যাবেন দুই নম্বর গেট এলাকায় বিপ্লব উদ্যানে। সেখানে মূল জমায়েত হবে। তবে যানজট ও অন্যান্য কারণে সূচি পরিবর্তন হতে পারে।
গোপালগঞ্জের মতো চট্টগ্রামেও কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির আশঙ্কা করছেন কি না?- সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে জোবাইরুল হাসান আরিফ বলেন, ‘চট্টগ্রামে হামলার শঙ্কার বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়েছে। চট্টগ্রামে এরকম কিছু হলে বিপ্লবী ছাত্র-জনতা প্রতিহত করবে। গোপালগঞ্জের পরে আমরা মনে করি না আওয়ামী লীগ আর নীরব ভূমিকায় আছে। এটা রাজনৈতিক দলগুলোর সামগ্রিক ব্যর্থতা বলে মনে করি। গোপালগঞ্জের পরে নিরাপত্তা নিয়ে আমরা নতুনভাবে ভাবতে বাধ্য হচ্ছি।’
দেশব্যাপী পদযাত্রার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদ এখনো তৈরি করতে পারেনি সরকার। আমরা জনগণের দুয়ারে যাচ্ছি। তাদের চাওয়া-পাওয়া জানার চেষ্টা করছি। জুলাই সনদের বিষয়ে বক্তব্য শুনছি। এসব বক্তব্য আমরা সরকারের কাছে তুলে ধরব।’
এদিকে গোপালগঞ্জে হামলার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন এনসিপির চট্টগ্রামের তত্ত্বাবধায়ক জোবাইরুল হাসান আরিফ। তিনি বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এ দায় এড়াতে পারে না। অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার ব্যাপারগুলা এত বেশি চোখা হয়ে উঠছে যে, আমরা আমাদের গণঅভ্যুত্থানের ফসল কাদের হাতে তুলে দিয়েছি, তা নিয়ে নিজেরাই এখন চিন্তিত। আমরা নিজেরাই এখন এ বিষয়ে ভাবতে বাধ্য হচ্ছি।’সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- দলটির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ইমন সৈয়দ ও যুব উইংয়ের কেন্দ্রীয় সংগঠক টিপু সুলতান।

আরও পড়ুন