১৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

গোপালগঞ্জ শহরে সুনসান নীরবতা, টহল দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

অনলাইন ডেস্ক : গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির গাড়ি বহরে হামলাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে টানা ৪ ঘণ্টা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের পর বর্তমানে সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে জেলা শহরে। বুধবার রাতে শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। শহরে সাধারণ মানুষ না থাকলেও বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। আতঙ্ক, উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছে সাধারণ মানুষ। আবার গ্রেপ্তার আতঙ্কে শহরতলীর বিভিন্ন এলাকা থেকে পুরুষদের বাড়ি ছাড়ারও খবর পাওয়া গেছে। গোপালগঞ্জ শহরতলীর ঘোষেরচর দক্ষিণপাড়া এলাকার দিনমিয়া মোল্লা বলেন, সারাদিন যে ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে খুব আতঙ্কের মধ্যে আছি। গোলাগুলি হইছে কখন জানি পুলিশ একচাইটে (একচেটিয়া) চাষ (গ্রেপ্তার) শুরু করে।
এর আগে দুপুরের দিকে গোপালগঞ্জে সমাবেশ শেষে মাদারীপুর ফেরার পথে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) গাড়ি বহরে হামলা চালায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এতে রণক্ষেত্রে পরিণত গোপালগঞ্জ। এ ঘটনায় গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করা হয়েছে । বুধবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় সরকারের পক্ষ থেকে কারফিউ জারি করা হয়।
এদিকে সংঘর্ষ চারজন নিহত ও পুলিশ-সাংবাদিকসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- গোপালগঞ্জ শহরের উদয়ন রোডের বাসিন্দা দীপ্ত সাহা (২৫), কোটালীপাড়ার রমজান কাজী (১৮), টুঙ্গীপাড়ার সোহেল রানা (৩০) ও গোপালগঞ্জ সদরের ইমন (২৪)। গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জীবিতেষ বিশ্বাস নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, নিহতের সঠিক তথ্য আমরা হাতে পাইনি। তবে যতটুকু জেনেছি ৪ জন নিহত হয়েছে। শহরজুড়ে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন