নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবস্থাপনায় বিদেশি কোম্পানির অংশগ্রহণ এবং রাখাইনে ‘মানবিক করিডোর’ দেওয়ার উদ্যোগ বন্ধের দাবিতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে রোডমার্চ করেছে ‘সাম্রাজ্যবাদবিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণ’। দুই দিনের এ কর্মসূচি শনিবার (২৮ জুন) বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দর ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।বামপন্থী বিভিন্ন সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত প্ল্যাটফর্মটির নেতারা অভিযোগ করেন, দেশের কৌশলগত সম্পদ চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী। এ ধরনের উদ্যোগ বন্ধে দেশের জনগণকে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তারা।
রোডমার্চে অংশ নেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)-র সভাপতি শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজসহ অর্ধশতাধিক সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের প্রায় এক হাজার নেতাকর্মী।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করে সোনারগাঁও, কুমিল্লা ও ফেনীতে একাধিক পথসভা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দিনে শনিবার সকালে ফেনী থেকে রওনা হয়ে মিরসরাই ও সীতাকুণ্ডে পথসভা শেষে চট্টগ্রাম শহরে প্রবেশ করে রোডমার্চ। শেষে চট্টগ্রাম বন্দর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়।
অংশগ্রহণকারীরা ‘মা-মাটি-মোহনা, বিদেশিদের দেব না’, ‘বন্দর-করিডর, বিদেশিদের দেব না’, ‘মার্কিন কোম্পানি স্টারলিংকের সঙ্গে চুক্তি বাতিল কর’ এবং ‘জাতীয় স্বার্থবিরোধী সকল অসম চুক্তি বাতিল কর’—এমন নানা স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড বহন করেন।
সংগঠনটি স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা চালুর পরিকল্পনাকে ‘সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধচক্রে বাংলাদেশকে জড়ানোর অপচেষ্টা’ বলেও অভিহিত করেছে।‘সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণ’ জানায়, এই আন্দোলন শুধু একটি বন্দর বা প্রকল্পের বিরুদ্ধে নয়, বরং জাতীয় সম্পদের ওপর জনগণের মালিকানা রক্ষার বৃহত্তর রাজনৈতিক সংগ্রামের অংশ।
