নিজস্ব প্রতিবেদক: কর্ণফুলী নদী রক্ষা ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের বার্তা দিয়ে চট্টগ্রামে হয়ে গেল সাম্পান শোভাযাত্রা। শুক্রবার দুপুরে নগরীর অভয়মিত্র ঘাট থেকে এ শোভাযাত্রা শুরু হয়। নদীর বিভিন্ন ঘাটের সাম্পান মালিক সমিতির সদস্যরা তাদের সাম্পান নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেন। চট্টগ্রামে ১৯তম বারের মত ‘সাম্পান খেলা ও চাঁটগাইয়া সংস্কৃতি মেলা’। তিন দিনের এ আয়োজনের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার সাম্পান শোভাযাত্রা হয়েছে।
শোভাযাত্রা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কোনোরকমের কার্পণ্য করা হবে না। আদালতের নিষেধাজ্ঞা নাই এমন সব স্থাপনা যেন দ্রুত উচ্ছেদ করা হয়।এই নদী দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে শুধু তাই নয়। ৯০ শতাংশের বেশি আমদানি রপ্তানি এই নদী দিয়ে হয়। নদী রক্ষায় সবাইকে যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, সাম্পান শোভাযাত্রার কর্মসূচি একটি অভিনব আন্দোলন। জীবনে নতুন অভিজ্ঞতা হল। এই ধরনের সামাজিক আন্দোলন সত্যি প্রেরণাদায়ক।
শোভাযাত্রার উদ্বোধক চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আলী আব্বাস বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের আমলে নাম-বেনামে অবৈধভাবে যারা কর্ণফুলী দখল করেছেন তারা নিজে থেকে সরে গিয়ে কর্ণফুলীকে তার স্বমহিমায় প্রবাহিত হতে দিন। না হয় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আপনাদের নদীর অবৈধ দখল ছেড়ে দিতে বাধ্য করবে। তখন নিজেদের সম্পদ যাওয়ার পাশাপাশি কালো মুখোশও জনগণের সামনে উন্মুক্ত হবে।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আলীউর রহমান, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি এস এম পেয়ার আলী, চাঁটগাইয়া সংস্কৃতি মেলার প্রধান সমন্বয়ক সাংবাদিক চৌধুরী ফরিদ, সাম্পান খেলা পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মীর্জা ইসমাইল, যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার হারুনুর রশিদ ও এম মাইন উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুছা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম সেলিম খান উপস্থিত ছিলেন।
