১৬ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

হালিশহর উপকূলে অয়েল ট্যাংকার চালকের লাশ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামে অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী জ্বালানি তেলবাহী একটি অয়েল ট্যাংকারের চালক মো. মোস্তাফা কামালের (৪৩) লাশ উদ্ধার করেছে সদরঘাট নৌ-পুলিশ। রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে হালিশহর উপকূল থেকে মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল নামে ওই নাবিকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল বাগেরহাটের ফকিরহাট এলাকার টাউন নোয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তবে তার পিতার বাড়ি স›দ্বীপে। তিনি গত প্রায় চার বছর ধরে এমটি মার্কেন্টাইল-২১ নামের তেল পরিবহনকারী জাহাজের ইনচার্জ ড্রাইভার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। পরিবারের অভিযোগ, জাহাজের লোকজন তাকে মেরে সাগরে ফেলে দিয়েছে।
পারিবারিক সূত্র এবং হাতিয়া থানায় রেকর্ড জিডি সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের এলজি-৪ জেটি থেকে এমটি মার্কেন্টাইল-২১ নামের জাহাজটি তেলবোঝাই করে খুলনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। জাহাজটি হাতিয়া থানাধীন চরঈশ্বর কাজীর বাজার নামক স্থানে পৌঁছালে মাস্টার চালককে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জিডিতে উল্লেখ করেন। কিন্তু ওই জাহাজের মাস্টার বিষয়টি ভিএইচএফে জানাননি। তার জাহাজের প্রধান চালককে খুঁজে পাওয়া না গেলেও এ ব্যাপারে অন্য জাহাজের সহায়তা চাওয়া হয়নি বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়।
জাহাজটি হাতিয়ার ঘাটে অবস্থান না করে কাজীর বাজার হতে চরগজারিয়া কেন চলে গেল এবং চালক মোহাম্মদ মোস্তফা কামালকে খুঁজে না পাওয়ার বিষয়টি তার পরিবার বা তার আত্মীয়-স্বজনকে না জানানোর বিষয়টিও জিডিতে উল্লেখ করা হয়।
জাহাজটি যখন চরগজারিয়ায় অ্যাঙ্কর করে তখন ভিএইচএফে ঘোষণা দেন যে, তার জাহাজের ইঞ্জিনের সমস্যা। তিনি পাইলট হাউজের নিকট অ্যাঙ্কর করবেন। ওইদিনের চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা জাহাজগুলো হতে এসব তথ্য সংগ্রহ করা হয় বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে রবিবার দুপুর নাগাদ হালিশহর উপকূল থেকে মোহাম্মদ মোস্তফা কামালের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের দাবি, মোস্তফা কামালকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১৪ জনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আরও পড়ুন