১৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

৬ মাসে ৩২ দুর্ঘটনা জাহাজ ভাঙা কারখানায়, নিহত ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত গত ছয় মাসে জাহাজ ভাঙা কারখানায় মোট ৩২টি দুর্ঘটনায় ৩ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস)। বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় বেসরকারি সংস্থা ইপসা কার্যালয়ে স্থানীয় অংশীজনদের সামনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ছয় মাসে মোট ৩২টি দুর্ঘটনায় ৪২ জন শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন ১৮ জন এবং হালকা আহত হয়েছেন ২১ জন। আহতদের মধ্যে ১১ জন শ্রমিকের হাত কিংবা আঙুল কেটে ফেলতে হয়েছে অথবা থেঁতলে গেছে। ১৩ জনের পা বা পায়ের হাড় ভেঙেছে কিংবা দগ্ধ হয়েছেন। ১০ জন মাথায় এবং ৪ জন শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়েছেন।
৩২টি দুর্ঘটনার মধ্যে ১৩টি ভারি লোহার লোহার আঘাতে, বিস্ফোরণে আগুনে দগ্ধ হওয়ার ঘটনা ১০টি, ভারী যন্ত্রপাতির আঘাত সংক্রান্ত ৬টি এবং জাহাজের উঁচু থেকে পড়ে যাওয়ার ঘটনা ৩টি। এসব দুর্ঘটনার ৭৫ শতাংশ দিনে এবং ২৫ শতাংশ রাতে ঘটেছে। নিহত তিনজনের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে রাতে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, দিনে কাজের চাপ বেশি থাকায় দুর্ঘটনার সংখ্যা বেশি। আর রাতে তদারকি ও জরুরি চিকিৎসা ব্যবস্থা দুর্বল থাকায় ঝুঁকি বেশি।
জাহাজভাঙা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফোরামের আহ্বায়ক ও শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য তপন দত্তের সভাপতিত্বে ও বিলস-ডিটিডিএ প্রকল্পের সেন্টার কো-অর্ডিনেটর ফজলুল কবির মিন্টুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম, ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দিন, বিএমএফএর যুগ্ম সম্পাদক মো. আলী, বিএমএসএফর যুগ্ম সম্পাদক মো. ইদ্রিস এবং জাহাজভাঙা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি মানিক মণ্ডল বক্তব্য দেন। এছাড়া উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা তজাম্মল হসেন, উপজেলা সমাজসেবা অধিদফতরের কর্মকর্তা লুতফুন্নেছা বেগম, সাংবাদিক সৌমিত্র চক্রবর্তী, এম এ কাইয়ুম চৌধুরী, ইমাম হোসেন স্বপন, শ্রমিক প্রতিনিধি দিদারুল আলম চৌধুরী বক্তব্য দেন।

আরও পড়ুন