১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

 ৫ বছরেই ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়া সম্ভব’-ডা. শফিকুর রহমান

অনলাইন ডেস্ক : জনগণ সত্যের পক্ষে রায় দিলে ৫ বছরের মধ্যেই ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি মিলনায়তনে কাফরুল পশ্চিম থানা আয়োজিত এক সুধী সমাবেশে মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা দেশকে বৈষম্যহীন, দুর্নীতি, দুঃশাসন ও অপরাধমুক্ত এক নতুন বাংলাদেশে পরিণত করার জন্য দীর্ঘ পরিসরে আন্দোলন করে যাচ্ছি। সমাজে শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা আমাদের আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্য।ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সব নাগরিক যাতে নিজেদের সাংবিধানিক অধিকার লাভ করতে পারে আমরা সে ধরনের একটি ইনসাফপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, ‘আমরা এমন এক সমাজ কায়েম করতে চাই যে সমাজের মানুষের সব ধরনের মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে। যে সমাজে ধর্মের ভিত্তিতে কোনো বিভাজন থাকবে না। সর্বোপরি আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দেশে সুশিক্ষার সম্প্রসারণ।
মূলত, সুশিক্ষাই পারে মানুষকে প্রকৃত মানুষে পরিণত করতে। তাই চলমান শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাতিকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার কোনো বিকল্প নেই। তিনি সুশিক্ষিত জাতি গঠনে দল-মত-নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমাদের জন্য অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।কিন্তু শঙ্কাটাও পুরোপুরি কেটে যায়নি। তাই আমাদেরকে খুবই সন্তর্পণে অগ্রসর হতে হবে।’
রাজনীতিতে মূল্যবোধের চর্চার প্রসঙ্গ তুলে আমিরে জামায়াত বলেন, ‘আগামীতে যারা ক্ষমতায় আসবেন বা যেতে চান তাদেরকে বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ ও আল্লাহর কাছে জবাবদিহির অনুভূতি নিয়ে সব কাজ সম্পাদন করতে হবে। কারণ, সবাইকে ফাঁকি দেওয়া সম্ভব হলেও আল্লাহকে ফাঁকি দেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়।’ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা এমন এক ইনসাফপূর্ণ নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই যেখানে ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, নারী ও পুরুষ নির্বিশেষে সবাই সব ধরনের ভয় ও শঙ্কামুক্ত থাকবেন।
অতীতে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা জনগণকে ভয়-ভীতিমুক্ত পরিবেশ উপহার দিতে পারেননি। তাই ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমাদেরকে জেনে-বুঝে আগামীর বাংলাদেশের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।’তিনি আরো বলেন, ‘জনগণ সত্যের পক্ষে রায় দিলে ৫ বছরের মধ্যেই দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করাসহ ইতিবাচক পরিবর্তন করা সম্ভব। তিনি সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।’
কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মুসার সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি লস্কর মোহাম্মদ তসলিম ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য শাহ আলম তুহিন প্রমুখ।

আরও পড়ুন