১৬ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

স্থিতিশীল থাকবে মসলার বাজার, সরবরাহে ঘাটতি নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক : এক মাসের কিছু বেশি সময় পর পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। কোরবানির এই সময় দেশে চাহিদা বেড়ে যায় মসলাজাত পণ্যের। চাহিদা বৃদ্ধির সুযোগটি লুফে নিয়ে মসলার দাম বৃদ্ধির প্রতিযোগিতায় নামেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।
তবে এবার দেশে ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে মসলাজাত পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাছাড়া অনেকটা আগেভাগেই কোরবানির ঈদে মসলার বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেছেন খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ।
মসলাজাত পণ্যের মধ্যে গেলো বছরের চেয়ে এবার তুলনামূলক বেশি দাম এলাচ, গোলমরিচ ও দারুচিনির। এসব পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যগুলোর দাম বৃদ্ধিকে দুষছেন ব্যবসায়ীরা। আর বছরের ব্যবধানে দাম কমেছে লবঙ্গ, জিরা, শুকনো মরিচ ও হলুদের।
সরেজমিনে খাতুনগঞ্জ ঘুরে দেখা যায়, বাজারে মসলাপণ্যের মধ্যে এলাচ ৪ হাজার ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গেলো বছরের একই সময়ে পণ্যটির দাম ছিল ৩৯০০ টাকা। গেলো বছর ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া গোলমরিচ এখন ১ হাজার ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে, গেলো বছরের তুলনায় ১৫ টাকা বেড়ে ৩৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে দারুচিনি।
আবার গেলো বছরের চেয়ে অন্তত ৫০ টাকা কমে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে জিরা। ২০২৪ সালের মে’তে ১ হাজার ৩৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া লবঙ্গের দাম কমে ১ হাজার ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খাতুনগঞ্জে। এছাড়াও গেলো বছরের চেয়ে প্রায় অর্ধেক দাম কমেছে শুকনো মরিচের। এক বছর আগে ৪৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া শুকনো মরিচ এখন ২৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ৬০ টাকা কমেছে হলুদের দামও। বর্তমানে ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পণ্যটি।
এদিকে, গেলো ১২ এপ্রিল খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের সাধারণ সভায় আসন্ন কোরবানির ঈদে মসলার সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম স্থিতিশীল রাখা নিয়ে আলোচনা করেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও এখন পর্যন্ত সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় কোরবানির ঈদ ঘিরে আর দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান মিন্টু বলেন, বাজারে মসলার পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে। দামও স্থিতিশীল। কোরবানির ঈদের আগে আর দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।

আরও পড়ুন