নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা ঢাকা মহানগরীর সাবেক সভাপতি, গাজীপুরের মসজিদের ইমাম মাওলানা মুহাম্মদ রইস উদ্দিনকে মব সৃষ্টি করে নির্যাতন-হত্যায় জড়িত খুনিদের শাস্তির দাবিতে চট্টগ্রাম নগরে প্রায় প্রতিদিনই বিক্ষোভ হচ্ছে। রাতেও রাজপথে নেমে আসছেন সুন্নি ছাত্র-জনতা।শুক্রবার (২ মে) নগরের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে জুমার নামাজ শেষে আহলে সুন্নাত ওয়াল জমাআত কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বানে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
আল্লামা শাহ নূর মোহাম্মদ আলকাদেরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জমাআত বাংলাদেশের চেয়ারম্যান শায়খুল হাদীস আল্লামা কাজী মঈনুদ্দীন আশরাফী। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট মহাসচিব অধ্যক্ষ আল্লামা স.উ.ম আবদুস সামাদ।
সৈয়দ আবু আজমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল, এম সোলাইমান ফরিদ, পীর মুফতি গিয়াস উদ্দীন তাহেরী, শাহজাদা আবদুল করিম কতুবী, পীর মাওলানা মনিরুল ইসলাম মুরাদ, এম.এ রহিম, এইচ. এম. মুজিবুল হক শুক্কুর, অধ্যাপক সৈয়দ জালাল উদ্দিন আজহারী, মাওলানা ওয়াহেদ মুরাদ, মাস্টার আবুল হোসাইন, এম মহিউল আলম চৌধুরী, মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন, নুরুল হক চিশতি, অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম আবদুল করিম তারেখ, মাওলানা আবদুন্নবী, নাছির উদ্দিন মাহমুদ, আলমগীর ইসলাম বঈদী, গাজী আবদুর রহিম, হারুন সওদাগর, আহসানুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার রাসেল, মো. এমরানুল ইসলাম, হাবিবুল মোস্তফা সিদ্দীকী, ইব্রাহিম খলিল, জি.এম শাহাদত হোসাইন মানিক, শাহজাদা নিজামুল করিম সুজন, শাহেদুল আলম, আদনান তাহসিন আলমদার, নূরের রহমান রণি, মো. ওসমান প্রমুখ।
আহলে সুন্নাত চেয়ারম্যান আল্লামা আশরাফী বলেন, ‘বাংলাদেশে এখনও আহলে সুন্নাত ওয়াল জমাআত সংখ্যাগরিষ্ঠ। এদেশে ইসলাম প্রচার করেছে আল্লাহর আউলিয়াগণ। সুফিবাদী সু্ন্নিরা শান্তিপ্রিয়, তাই আমাদের দুর্বল ভাববেন না। দেশে একজন ইমাম-খতিব নিরাপদ নয়, সেখানে সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা কোথায়?’ তিনি বলেন, ‘একজন ইমামকে শুধুমাত্র সুন্নি মতাদর্শের কারণে মিথ্যা অপবাদে হত্যা করবেন, আর আমরা চুপ হয়ে থাকবো, তা ভাবলে আপনারা ভুল করবেন। শহীদ রইস উদ্দীনের খুনিদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকব।’
ইসলামী ফ্রন্ট মহাসচিব অধ্যক্ষ সামাদ বলেন, ‘মব সৃষ্টিকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার না করে পুলিশ প্রশাসন রইস উদ্দিনকে দোষী প্রমাণে অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। তাঁকে মিথ্যা অপবাদে নির্যাতনকারী খুনিদের বিরুদ্ধে মামলা না নিয়ে পুলিশ বৈষম্য করছে। প্রশাসনের এহেন তালবাহানা জনগণ মেনে নেবে না।’
তিনি বলেন, ‘ইতোপূর্বে আমরা ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি, আজ ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিচ্ছি। শনিবার (৩ মে) লালদীঘির প্রতিবাদ সমাবেশ ও রবিবার ‘মার্চ টু গাজীপুর’ এর মধ্যে সরকার অপরাধীদের গ্রেপ্তারে যদি ব্যর্থ হয়, তবে এরপর দেশব্যাপী হরতাল ও অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি দিয়ে দাবি আদায় করব।’
বক্তারা বলেন, বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র গঠনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করে, তবে সুন্নিদের সাথে এত বৈষম্য কেন? কেন রইস হত্যার পর মামলা নেওয়া হলো না? আমরা রাজপথ ছাড়ব না। মাওলানা রইস উদ্দীনের খুনিদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।নেতৃবৃন্দ রইস হত্যার বিচার দাবিতে শনিবার লালদীঘি চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ এবং রবিবার ‘মার্চ টু গাজীপুর’ সফল করার আহ্বান জানান।