অনলাইন ডেস্ক: সিরাজগঞ্জ-১ (কাজিপুর ও সদরের একাংশ) আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা শাহিনুর আলমের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে জামায়াত ও শিবিরের অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। একই আসনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী সেলিম রেজা ও তাঁর কর্মী-সমর্থকরা এ হামলায় জড়িত বলে দাবি জামায়াত নেতাদের।গতকাল সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কাজিপুর উপজেলার সোনামুখি ইউনিয়নের স্থলবাড়ি মেফতাহুল উলুম কওমী মাদরাসায় ইসলামী জালসা শেষে এ হামলার ঘটনা ঘটে।আহতদের সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
জামায়াতমনোনীত প্রার্থী মাওলানা শাহিনুর আলমের অভিযোগ, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সেলিম রেজা প্রধান অতিথি হিসেবে জলসায় বক্তব্য দিয়ে মঞ্চ ত্যাগ করার পর আমি জলসার প্রধান মেহমান হিসেবে মঞ্চে উঠি। সেখানে বক্তব্য দেওয়ার সময় আমাকে বাধা দেওয়া হয়। সেখান থেকে ফেরার পথে কিছুদূর আসার পরই পেছন থেকে আমাদের গাড়িবহরে হামলা করা হয়।এরপর সেখান থেকে সরে গিয়ে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে সোনামুখী এলাকায় অবস্থান করার সময় সেখানেও আমাদের ওপর হামলা করা হয়। এতে দলের অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী আহত হন এবং কয়েকটি যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি করে মাওলানা শাহিনুর আরো বলেন, এ ঘটনায় মামলা করা হবে। পাশাপাশি বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করা হবে।
এদিকে, হামলার ঘটনার প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের নেতাকর্মীরা আজ মঙ্গলবার সকালে মিরাজগঞ্জ শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা জামায়াত কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা না হলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে কাজিপুর-১ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি সেলিম রেজা বলেন, হামলার ঘটনায় বিএনপির কোনো নেতাকর্মী জড়িত নয়। জামায়াতের নেতাকর্মীরা বহিরাগত ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী নিয়ে মিছিল করে জলসা মঞ্চে উপস্থিত হন।এ সময় স্থানীয়রা জলসা বন্ধ করে দেয়। পরে আমি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে জলসা শুরু করতে সাহায্য করি। এরপর জলসা এলাকা থেকে আমি চলে আসার পর শুনতে পারি তাদের গাড়িবহরে হামলা হয়েছে।কাজিপুর থানার ওসি শাহ এনায়েতুর রহমান বলেন, দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হামলার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। আজ (মঙ্গলবার) দুপুর পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।





