বিনোদন ডেস্ক: নাটকের অভিনেত্রী সামিরা খান মাহি। একসময় গতানুগতিক সব ধরনের গল্পের নাটকেই তার উপস্থিতি মিলত। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কাজের সংখ্যা বৃদ্ধির চেয়ে, মানের দিকেই তার বেশি নজর। তাই নতুন কোনো কাজে যুক্ত হতে ভাবছেন বারবার।একক নাটকের নিয়মিত অভিনেত্রী, প্রথমবার যুক্ত হলেন মেগাধারাবাহিকে। করেছেন নতুন একটি ওয়েব সিরিজও। সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে সামিরা খান মাহির সঙ্গে কথা বলেছেন সুদীপ কুমার দীপ।সাধারণত ধারাবাহিক নাটকে আপনাকে দেখা যায় না।
হঠাৎ ‘খুশবু’তে যুক্ত হলেন কেন?
নির্মাতা সাজ্জাদ সুমন ভাই ধারাবাহিকটির গল্প শুনিয়েছিলেন। শুটিংয়ের পরিকল্পনাও জানিয়েছিলেন। দীপ্ত টিভির ধারাবাহিকগুলো সব সময় সফল হয়। দর্শক ওদের গল্প বলার ধরন, শুটিং সেট, নির্মাণ বেশ পছন্দ করে। ‘খুশবু’ আর দশটা ধারাবাহিক থেকে একেবারেই আলাদা। আমরা যেভাবে শুটিং করেছি, বলতে পারেন সিনেমায়ও এত ধরে ধরে শট নেওয়া হয় না। সারা দিনে তিন-চারটি করে দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে। ধারাবাহিকটিতে যুক্ত হওয়ার আগেই পরিকল্পনাগুলো জেনেছিলাম বলেই আগ্রহী হয়েছি।
গল্প কেমন, আপনার চরিত্রটা কোন ধরনের?
আসলে তিন-চারটি গল্প নিয়ে ধারাবাহিকটি।চিত্রনাট্য এমনভাবে করা হয়েছে যে দর্শক বুঝতেই পারবে না গল্পগুলো আলাদা। আমার চরিত্র নিয়ে এখনই কিছু বলা যাবে না। এটা দীপ্ত টিভির একটি পলিসি। শুধু এটুকু বলি, আমরা প্রথম লটের শুটিং করেছি গোপালগঞ্জের মধুমতী নদীর তীরে। বুঝতেই পারছেন, আবহমান বাংলার একটি প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠবে নাটকটিতে।
‘খুশবু’ তো মেগাধারাবাহিক। শিডিউল নিয়ে ঝামেলা হবে না?
এখানেই তো টুইস্ট। মেগাধারাবাহিক হলেও আমার চরিত্রের ডিউরেশন বেশি নয়। গল্পের শুরুটা আমাকে দিয়ে হবে আর শেষটায়ও আমি থাকব। মাঝখানের পর্বগুলো এগোবে আমার অন্তর্ধানকে কেন্দ্র করে। ফলে খুব বেশি শিডিউলের দরকার পড়বে না।
সিলেটে ঘুরে বেড়ানোর বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করেছেন ফেসবুকে। বেড়াতে গিয়েছিলেন?
আরে নাহ! একটা টিভিসির শুটিং করেছি। তিন দিন ধরে সিলেটের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে শুটিং হয়েছে। কখনো রাতারগুল, কখনো জাফলং আবার কখনো ঝরনার ধারে। শুটিং হলেও সময়টা বেশ উপভোগ করেছি। বলতে পারেন রথও দেখা হলো কলা বেচাও হলো।
সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি নাটকে আরশ খানের সঙ্গে বেশি দেখা গেছে আপনাকে। আর কোন কোন অভিনেতার সঙ্গে কাজ করছেন?
হ্যাঁ, শেষ যে ছয়-সাতটি নাটক প্রকাশিত হয়েছে সব কটিতেই আরশ আছে। এগুলোর শুটিং আগেই করেছিলাম। অন্য অভিনেতাদের সঙ্গে করা নাটক প্রকাশের অপেক্ষায় আছে। তার আগেই আরশের সঙ্গে করা নাটকগুলো একের পর এক প্রকাশিত হচ্ছে।
সাম্প্রতিক নাটকগুলোর মধ্যে আপনার প্রিয় নাটক কোনটি?
অবশ্যই ‘বকুল ফুল’। ইমরাউল রাফাত ভাইয়ের নাটকটিতে দর্শক অন্য এক মাহিকে পেয়েছে। মানসিক ভারসাম্যহীন এক মহিলার চরিত্রে অভিনয় করেছি। যে রাস্তায় থাকে, কী খাবে, কোথায় যাবে কিছুই জানে না। মেকআপ ছাড়াই হাজির হয়েছি ক্যামেরার সামনে। একটু ভয়ে ছিলাম দর্শক কতটা গ্রহণ করবে। তবে নাটকটি প্রকাশের পর দর্শকের মন্তব্য পড়ে খুব ভালো লেগেছে। অনেকে বলেছেন, চরিত্রটির জন্য আমার পুরস্কার পাওয়া উচিত। অনেকে বলেছেন, দীর্ঘদিন পর একটা নাটক দেখে চোখে পানি এলো। অভিনেত্রী হিসেবে এটাই তো অর্জন।
নতুন আর কী করছেন?
একটা ছয় পর্বের ওয়েব সিরিজ করলাম। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি দেখতে পাবেন। এ ছাড়া অনেক একক নাটকের শিডিউল দেওয়া। ভিসা পেলে সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে দেশের বাইরে একটি কাজ করতে যাব। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানাব।