অনলাইন ডেস্ক: চাঁদা দাবির অভিযোগে রমনা মডেল থানায় সাংবাদিকের করা মামলায় আসামি টিকটকার জান্নাতুল ফেরদৌস টুকটুকির রিমান্ড ও জামিন উভয় আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমানের আদালত শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এদিন কারাগারে থাকা আসামি টুকটুকিকে আদালতে হাজির করা হয়।রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মুহাম্মদ শামছুদ্দোহা সুমন রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। আসামির পক্ষে মোহাম্মদ আশিক আল মামুন রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এর আগে গত ২৮ অগাস্ট মাগুড়ার মহম্মদপুর থানার ৬ নং ওয়ার্ড এলাকা থেকে টুকটুকি এবং তার সহযোগী শিমুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওই দিনই তাদের তাকে কারাগার পাঠানো হয়। গত ১৭ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম দক্ষিণ বিভাগের উপপরিদর্শক মোহসীন সরকার তার তিন দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
ওই আবেদনে বলা হয়, মূলত আসামি টুকটুকি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মান সম্মান বিনষ্টকারী, চাঁদা দাবি করে মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শনকারী এবং সমাজে অশ্লীলতা সৃষ্টি করাই তার নেশা ও পেশা বটে। গত ২৩ জুলাই রমনা মডেল থানায় দৈনিক খবরের আলো পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক আজিজুর রহমান টুটুল অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় অভিযোগ করেন, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রমনার বাসায় অবস্থানকালে সকাল ১০টার দিকে দেখতে পান, খবর মোহাম্মদপুর নামক একটি পেজ থেকে তার ছবি ব্যবহার করে কুরুচিপূর্ণ অসত্য তথ্য প্রচার করছে। এরপর তারা তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে তার ছবি ব্যবহার করে অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়।
