নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম নগরের বন্দর থানার সল্টগোলা ক্রসিং এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ধরতে অভিযান চালানোর সময় এক পুলিশ কর্মকর্তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখমের ঘটনায় ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় অস্ত্র ও সন্ত্রাস দমন আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। পুলিশ বলছে, আসামিরা নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী।
আগের খবর : সল্টগোলায় আ. লীগের মিছিল, অভিযানে পুলিশ সদস্যকে এলোপাতাড়ি কোপসোমবার (১১ আগস্ট) রাত পৌনে ১২টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৪টা পর্যন্ত বন্দর থানার বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ১৮ জন হলেন—বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ থানার মো. হাসান (২২), একই থানার অমিত হাসান শান্ত (২৫), ফেনী জেলার দাগনভূঞা থানার জাহিদ হাসান (৩৩), চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার মনির হোসেন (২৮), ভোলা জেলার শাহাদাত হোসেন (৩৯), নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার মো. দেলোয়ার (২০), একই জেলার মোহাম্মদ দেলোয়ার (২৮), বন্দর থানার ধুপপুল এলাকার আব্দুল আজিম (৫৫)।
বাকিরা হলেন—বন্দর থানার সল্টগোলা ঈশান মিস্ত্রি হাট এলাকার মো. ইকবাল (৩২), একই থানার ২ নং মাইলের মাথা এলাকার মোহাম্মদ তাসরিফ (২৫), লোহারপুল এলাকার সালাউদ্দিন বাদশা (৫৮), নূর উদ্দিন মাসুম (৪২), মধ্যম গোসাইলডাঙা এলাকার ইমতিয়াজুর রহমান (১৯), নিউমুরিং তক্তারপুল এলাকার মো. রিমন (২৯),মধ্যম হালিশহর এলাকার মো. টিপু (২৪), লক্ষ্মীপুর জেলার সদর থানার মোশাররফ প্রকাশ সাহেব (৪৯) ও বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানার মো. রাব্বি সরকার (২৩)।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সল্টগোলা ক্রসিং ঈশান মিস্ত্রি হাট খালপাড় এলাকায় মিছিল করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এই মিছিলের নেতৃত্ব দেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা শাকিল। ঘটনাস্থলে খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ পৌঁছালে উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদ রানার মাথা, গলা, হাত ও পেটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে আসামিরা। পরবর্তীতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নগর পুলিশের বন্দর জোনের সহকারী কমিশনার মাহমুদুল হাসান সিভয়েস২৪‘কে আজ বিকেলে বলেন, ‘পুলিশ অফিসারের ওপর হামলার ঘটনার পরপরই আমরা ভোর ৪টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করি। এ পর্যন্ত মোট ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সন্ত্রাস দমন আইন ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা করেছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
