৪ঠা নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শৈশবে ছেলেদের সঙ্গে খেলত রেণুকা : মা সুনীতা

ক্রীড়া ডেস্ক: ভারতের নারীদের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ে অসামান্য ভূমিকা রাখা রেণুকা সিং ঠাকুরের সাফল্যে উৎসবে মেতেছে হিমাচল প্রদেশের শিমলার রোহরু তহসিলের ছোট্ট পারসা গ্রাম। ক্রিকেটার রেণুকার শৈশব, সংগ্রাম ও স্বপ্ন পূরণের গল্প এখন গোটা দেশের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।শৈশব থেকেই ক্রিকেটে মগ্ন ছিলেন রেণুকা সিং ঠাকুর। স্থানীয় ছেলেদের সঙ্গে কাপড়ের বল আর কাঠের ব্যাটে খেলতেন তিনি।সেই খেলাই একসময় তাকে দেশের জার্সি পরার স্বপ্ন দেখায়।সেই সব দিনগুলোর কথা বলতে গিয়ে আবেগে ভাসেন তার মা সুনীতা। জানান, ক্রিকেটভক্ত প্রয়াত বাবাই রেণুকাকে খেলাধুলায় এগিয়ে যেতে উৎসাহ দিতেন। তিনি জানান, রেণুকার প্রয়াত বাবাও ছিলেন ক্রিকেটপ্রেমী এবং চাইতেন সন্তানদের কেউ একজন খেলাধুলায়, বিশেষ করে ক্রিকেট বা কাবাডিতে ক্যারিয়ার গড়ুক।
তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী ক্রিকেটের ভক্ত ছিলেন। তিনি সব সময় চাইতেন সন্তানদের কেউ খেলাধুলায় আগাক। আজ তিনি নেই, কিন্তু মেয়ে তার স্বপ্ন পূরণ করেছে।’ফাইনালের আগে মেয়েকে ফোনে সুনীতা বলেছিলেন, ‘দেশের জন্য খেলো, নিজের জন্য নয়, আর আজ বিশ্বকাপ জিতে এসো।’ রেণুকা সেই কথার মর্যাদা রক্ষা করেন মাঠে।রবিবার ভারতের জয়ের প্রতিটি দক্ষিণ আফ্রিকান উইকেট পতনে উল্লাসে ফেটে পড়েছিল ঠাকুর পরিবার। সোমবার পুরো গ্রামকে নেমন্তন্ন করে ভোজের আয়োজনও করেছে তারা।রেণুকার ক্রিকেটে পথচলার সূচনা হয় তার চাচা ভূপিন্দর ঠাকুরের হাত ধরে। তিনি তখন শারীরিক শিক্ষা শিক্ষক ছিলেন।মেয়ের প্রতিভা চিনে ধর্মশালা ক্রিকেট একাডেমিতে ভর্তি করিয়ে দেন। সেই থেকেই শুরু রেণুকার স্বপ্নের যাত্রা। আজ ভারতের ঐতিহাসিক বিশ্বকাপ জয়ে বড় অবদান রাখার পর সেই রেণুকা এখন শুধু পরিবারের নয়, গোটা দেশের গর্ব।

আরও পড়ুন