অনলাইন ডেস্ক: কুমিল্লায় ‘স্টেশন মাস্টারের ভুলে’ যাত্রী রেখে ট্রেন অন্য স্টেশনে চলে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় স্টেশন মাস্টারসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি।নাঙ্গলকোট উপজেলা রেলওয়ে স্টেশনে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এ ঘটনা ঘটে বলে কুমিল্লা রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী মজুমদার জানিয়েছেন।বরখাস্তরা হলেন- নাঙ্গলকোট উপজেলা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার রূপন চন্দ্রশীল ও চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক আবির হোসেন।বাকিরা সহকারী চালক ও ট্রেনের গার্ড বলে জানা গেলেও তাৎক্ষণিকভাবে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।লিয়াকত আলী বলেন, তাদের রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রামের ব্যবস্থাপকের কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে। এ ঘটনার তদন্ত করবেন ঊর্ধ্বতন উপসহকারী লোকো সাইফুল ইসলামসহ তিন সদস্যের দল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ‘চট্টলা এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি নাঙ্গলকোট স্টেশনে থেমে সিডিউল মোতাবেক যাত্রী ওঠানো-নামানোর কথা ছিল। কিন্তু রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ট্রেনটি পূর্ব নির্ধারিত স্টেশনে না থেমে ‘মাস্টারের ভুল সিগন্যালের কারণে’ যাত্রীদের রেখেই চলে যায়।এতে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন এবং এক পর্যায়ে স্টেশন মাস্টারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে ‘সুবর্ণ এক্সপ্রেস’ ট্রেন নাঙ্গলকোট স্টেশনে থামিয়ে চট্টগ্রামের যাত্রীদের নিয়ে যাওয়া হয়।
এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার রূপন চন্দ্রশীল বলেন, “লাকসাম কেবিনে দায়িত্বরত মাস্টার শিমুল মজুমদার বলেছিলাম, চট্টলা এক্সপ্রেস টেনকে সিগন্যাল দিতে থামার জন্য। কিন্তু তিনি ৮০২ চট্টলার জায়গায় ৭০২ সুবর্ণ এক্সপ্রেস থামাতে হবে মনে করেছিলেন। তাই চট্টলা এক্সপ্রেস নাঙ্গলকোটে থামেনি। কেবিন মাস্টারের বলার ভুলের কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে।”
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে লাকসাম রেলওয়ের কেবিন মাস্টার শিমুল মজুমদার বলেন, “আমি ৮০২ চট্রলা ট্রেনের কাগজ লিখে দিয়েছি। ৭০২ সুবর্ণ ট্রেনের নাম আমি লিখি নাই। আমরা দুজন মাস্টার ভুল করতে পারি কিন্তু ট্রেনের চালক তো ভুল করতে পারেননা। সে তো স্টপেজ দিতে পারতো। ট্রেনের গার্ডতো ভুল করতে পারেনা। সেও ব্রেক করতে পারতো।”
কুমিল্লা রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী মজুমদার বলেন, দায়িত্বে অবহেলার কারণে নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশন মাস্টাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
