খবর বিজ্ঞপ্তি : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল চট্টগ্রাম উত্তর জেলার নেতা ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ মোস্তফা আলম মাসুম বলেছেন, ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে মেজর জিয়া স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা পূর্ব পাকিস্তানের সর্বস্তরের জনগণের মাঝে নতুন প্রাণ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছিল। যার কারণে দেশের মানুষের মনে যুদ্ধে অংশগ্রহণের সাহস যুগিয়েছিল। বাংলাদেশের ইতিহাসে মেজর জিয়ার স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা, ১৯৭৫ সালের সিপাহী বিপ্লবে মাধ্যমে সেনা ও বাংলাদেশে জনগণে ইচ্ছায় ক্ষমতা অধিষ্ঠিত হওয়া এবং পরবর্তীতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭৫’র পটপরিবর্তনের পর বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে উত্তরণের জন্য ১৯ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে উৎপাদনমুখী রাজনীতির সুচনা করেছেন। একই ধারাবাহিকতায় ১৯৯১ সালে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্রের মাধ্যমে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল।
তিনি উত্তর হাটহাজারী প্রবীন বিএনপির নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের বিজয়ের ৫৫ বছর প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন। প্রবীন বিএনপি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মুহাম্মদ আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রবীন বিএনপি নেতা সাবেক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মুহাম্মদ ওবাইদুল আকবর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কর্মকর্তা হাজী মুহাম্মদ রবিউল ইসলাম, বিএনপি নেতা হাজী মুহাম্মদ আবুল বশর, প্রবীন বিএনপি নেতা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন, বিএনপি নেতা এবং বৌদ্ধ ফোরাম নেতা যীশু বড়ুয়া, বিএনপি নেতা মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম দুলাল, হাটহাজারী উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি গাজী মুহাম্মদ আজিজ উদ্দিন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ মোস্তফা আলম মাসুম আরও বলেন-২০০৮ সাল থেকে ২০২৪ আগস্টের ৫ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক পরিবেশকে সম্পূর্ণ বিনষ্ট করে লুটপাটের মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী দেশের স্বার্থ সংরক্ষণে ফ্যাসিস্ট সরকার নিয়োজিত ছিল। ২০২৪’র আগষ্টে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করেছে। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকার এখনো পর্যন্ত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিএনপিকে তৃণমূল পর্যায়ে শক্তিশালী করার জন্য যে উদ্যোগ নিয়েছে, তার জন্য প্রবীণ বিএনপির নেতৃবৃন্দকে আন্তরিকতার সাথে দলকে সাধারণ মানুষের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করার আহ্বান জানান। প্রকৃত পক্ষে শহীদ জিয়ার ১৯ দফা কর্মসূচি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ঘোষিত ভিশন ২০৩০ এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি স্বাধীন বাংলাদেশ রক্ষায় আগামীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা করেন। নতুন প্রজন্ম সহ দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, মেজর জিয়ার স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণায় ১৯৭১’র মুক্তিযুদ্ধের বিজয় নিশ্চিত করেছে দেশপ্রেমিক জনগণ।
বিশেষ দোয়া ও মুনাজাতে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার পরিবেশ বজায় রাখার জন্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের ও ২৪’র গণআন্দোলনের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় এবং বিএনপি’র চেয়ারপার্সন, সাবেক প্রধান মন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করা হয়।





