৭ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মহালছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, পানিবন্দি দুইশ পরিবার

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে কাপ্তাই লেকের পানি বাড়ায় খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, মহালছড়ির সিলেটি পাড়া, চট্টগ্রাম পাড়া ও ব্রিজ পাড়া এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন বাসিন্দারা। এছাড়া মহালছড়ি উপজেলার সঙ্গে যুক্ত মুবাছড়ি ইউনিয়নের একমাত্র সড়কে কোমরসমান পানি উঠেছে।এতে যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়েছেন মুবাছড়ি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ। অনেকে নৌকায় চলাচল করছে। বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা।সিলেটি পাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ লালন বলেন, “গত চার দিন আগে ঘরে পানি উঠেছে। প্রতিদিনই পানি বাড়ছে।“উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নামায় আমাদের ভোগান্তি বেড়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে।”
চট্টগ্রাম পাড়ার বাসিন্দা মো. হোসেন আলী বলেন, “কাপ্তাই লেকের পানি বাড়ার কারণে আমাদের পুরো পাড়ার বেশ কয়েক ঘরে পানি উঠেছে। আমার বাড়ির উঠান পর্যন্ত পানি উঠেছে।“লেকের পানি আরও বাড়লে ঘরের ভেতরে পানি ঢুকে যাবে। আমরা আতঙ্কে আছি।”মুবাছড়ি সড়কে সমিল পাড়ায় সড়কের একাধিক অংশ ডুবে থাকায় ভোগান্তির কথা জানালেন স্থানীয় বাসিন্দা রত্ন উজ্জ্বল চাকমা।
তিনি বলেন, “প্রতিবছরই সড়কের কাছাকাছি পানি আসলেও এবার সড়ক ডুবে গেছে। পানি কমছে না; স্থির অবস্থায় রয়েছে। মুবাছড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দারা জরুরি কাজে নৌকায় করে পারাপার হচ্ছে। সড়কটির অনেক অংশ ভেঙে গেছে।“ভবিষ্যতে সড়কের উচ্চতা বাড়িয়ে যদি পুর্ণনির্মাণ করা হয়। সেক্ষেত্রে জনভোগান্তি কমবে।”
কাপ্তাই হ্রদ মৎস উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্র মহালছড়ি উপকেন্দ্রের প্রধান মো. নাসরুল্লাহ আহমেদ বলেন, “লেকের পানি বাড়ার কারণে ১ অগাস্ট থেকে আমাদের মৎস অবতরণ কেন্দ্রে ল্যান্ডিং স্টেশন ডুবে গেছে। আর একফুট পানি বাড়লে আমাদের অফিসও ডুবে যাবে।”
মহালছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু রায়হান বলেন, “কাপ্তাই লেকের পানি না কমায় সদর ও মুবাছড়ি ইউনিয়নের প্রায় দুইশ পরিবার ডুবে গেছে। পানিবন্দি দুইশ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে।”“এছাড়া পানিতে সড়ক ডুবে যাওয়ায় মুবাছড়ি ইউনিয়নের সঙ্গে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পরেছে স্থানীয়রা।”

আরও পড়ুন