উখিয়া প্রতিনিধি: মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান তীব্র সংঘর্ষের জেরে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং সীমান্ত এলাকা মর্টারশেল ও গোলাগুলির শব্দে কেঁপে উঠেছে। সীমান্তের ওপার থেকে ছোড়া গুলির শব্দে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ সময় মিয়ানমার থেকে ছোড়া কয়েকটি গুলি সীমান্তবর্তী বসতঘরের টিনের চালা ভেদ করে ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়ার ঘটনাও ঘটেছে। এ অবস্থায় নিরাপত্তা জোরদারসহ দ্রুত সরকারি উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত প্রায় চার ঘণ্টা ধরে থেমে থেমে টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্ত এলাকায় এসব গোলাগুলি ও মর্টারশেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। বিকট আওয়াজে সীমান্তসংলগ্ন বসতঘর কেঁপে ওঠে এবং পুরো এলাকায় চরম উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ে।
হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সিরাজুল মোস্তফা লালু জানান, শনিবার ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত হোয়াইক্যং সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে মর্টারশেল নিক্ষেপ ও ভারী অস্ত্রের গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। এতে সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই পরিবার সদস্যদের নিয়ে দ্রুত নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেন।
তিনি আরও জানান, হোয়াইক্যং বাজারসংলগ্ন মোহাম্মদ হোসেন ও আব্দুল কুদ্দুসের বাড়িতে এবং বালুখালী গ্রামের সরওয়ার আলমের বাড়িতে কয়েকটি গুলি এসে পড়ে। এছাড়া উত্তর পাড়া সংলগ্ন নাফ নদীতে একটি মর্টারশেল পড়ে বিস্ফোরিত হলে সেখান থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলি উঠতে দেখা যায়।
গুলিতে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে নুরুল আবছার বলেন, ‘ভোর থেকেই মিয়ানমার সীমান্তে প্রচণ্ড গোলাগুলি ও মর্টারশেল ফায়ারের শব্দ হচ্ছিল। হঠাৎ করে আমার ঘরের টিনের চালে পরপর দুটি গুলি এসে লাগে। আমরা ভীষণ আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। ফায়ার হলেই বাড়ি-ঘর কেঁপে উঠছিল।’
সরওয়ার আলম নামের আরেকজন বলেন, ‘গোলাগুলি শুরু হলে সন্তানদের নিয়ে দ্রুত নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিই। হঠাৎ একটি গুলি টিনের ছাউনি ছিদ্র করে ঘরের ভেতরে পড়ে যায়। গুলিটি তখনো গরম ছিল।’হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) খোকন কান্তি রুদ্র জানান, শনিবার ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্তের দিক থেকে প্রচুর গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। সীমান্তবর্তী কয়েকটি বাড়িতে গুলি এসে পড়ার তথ্য পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।





