ক্রীড়া ডেস্ক : দুবাইয়ে এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের ভারত-পাকিস্তান হাই ভোল্টেজ ম্যাচ শেষে সৌজন্য বিনিময় না হওয়ায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ম্যাচ শেষে পাকিস্তানি খেলোয়াড়েরা করমর্দনের জন্য এগিয়ে গেলেও ভারতীয় ক্রিকেটার সূর্যকুমার যাদব ও শিভম দুবে তা এড়িয়ে গেছেন। সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পাকিস্তান দল। অনুষ্ঠিত ম্যাচে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ভারত। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করা পাকিস্তান দলের ব্যাটাররা ব্যর্থতার দিনে শাহিন আফ্রিদির দারুণ ক্যামিওতে মাত্র ১২৭ রান গড়ে। জবাবে সূর্যকুমার যাদব, অভিষেক শর্মা ও তিলক ভার্মার ব্যাটে ভর করে তিন উইকেট হারিয়ে বড় জয়ে ভারতের খেলোয়াড়রা মাঠ ছাড়েন।
ম্যাচ শেষে সূর্যকুমার ও শিভম দুবে সোজা ড্রেসিংরুমে চলে যান, যার পর ভারতীয় ড্রেসিংরুমের দরজা বন্ধ রাখা হয়। পাকিস্তান দলের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, এর ফলে তারা ভারতের খেলোয়াড়দের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে সৌজন্য বিনিময় করতে পারেননি।
ক্রিকেটে খেলোয়াড়রা সাধারণত ম্যাচ শেষে করমর্দন করে, যা ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’ হিসেবে ধরা হয়। পাকিস্তানের প্রধান কোচ মাইক হেসন সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘ম্যাচ শেষে হাত মেলানোর জন্য আমরা সবাই প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু প্রতিপক্ষ সেটা করেনি, তাই আমরা হতাশ হয়েছি। আমরা এগিয়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু ওরা ড্রেসিংরুমে চলে গেল।’
ভারতীয় দলের পক্ষ থেকে সূর্যকুমার যাদব বলেছেন, ‘জীবনের কিছু বিষয় খেলোয়াড়ি মানসিকতার চেয়ে বড়। আমরা সবাই একসঙ্গে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, পাকিস্তান দলের সঙ্গে ম্যাচ শেষে করমর্দন থেকে বিরত থাকব। আমরা এখানে শুধুই খেলতে এসেছি এবং সঠিক জবাব দিয়েছি। এছাড়া, আমরা পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার ভুক্তভোগীদের পরিবারের সঙ্গে সংহতি জানাতে চাই। এই জয় আমরা আমাদের সাহসী সেনাদের উৎসর্গ করছি।’
পেহেলগামে ওই হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যার মধ্যে ২৫ জন ভারতীয় নাগরিক। ভারত সরকার দাবি করেছে, হামলার পেছনে পাকিস্তানভিত্তিক গোষ্ঠীর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। ঘটনার পর দুই দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা দেখা দেয় এবং মে মাসে সীমিত সংঘর্ষের পর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি হয়। তবে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি এখনও চলমান।
পাকিস্তান দাবি করছে, ভারতের এমন আচরণ ক্রীড়া নীতিমালার বাইরে এবং খেলোয়াড়দের পারস্পরিক সম্মানবোধের পরিপন্থী। আর ভারতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, পেহেলগামে নিহতদের প্রতি সংহতি জানাতেই তারা ম্যাচ-পরবর্তী করমর্দন ও আনুষ্ঠানিকতা থেকে বিরত ছিলেন।
