অনলাইন ডেস্ক: বীরমুক্তিযোদ্ধা সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। আওয়ামী লীগের এই বর্ষীয়ান নেতাকে কারাবন্দি অবস্থায় গতকাল রাত ১২টার দিকে জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের উচ্চ নির্ভরতা ইউনিটে (এইচডিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়।
সাত বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন চট্টগ্রাম-১ আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে তার ছেলে মাহবুব রহমান রুহেল একই আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত মোশাররফ হোসেনের চলাফেরা পর্যন্ত দুজন সহকারী ছাড়া সম্ভব নয়। কারাগারে তার চিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এর আগে তার স্ত্রী আয়েশা সুলতানা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে এক আবেদনে বলেন, “অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, ২৪ জুলাই গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পর কারা কর্তৃপক্ষ মোশাররফ হোসেনকে হাসপাতালে পাঠালেও কোনো ধরনের চিকিৎসা না করিয়ে আবার ফেরত পাঠায়। এতে তার শারীরিক অবস্থা আরও সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। আজ আমরা শঙ্কায়, যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।”
আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, “সব আজগুবি মামলায় আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন। এমনকি ৫ জুন জামিনে মুক্ত হওয়ার দিনও তাকে আরেকটি মামলায় আবার গ্রেপ্তার দেখানো হয়, যেই মামলায় তিনি নামেও ছিলেন না। তিনি কোনোভাবেই রাষ্ট্র বা সমাজের জন্য হুমকি নন। বরং দেশের জন্য ৫০ বছরের বেশি সময় নিবেদিতভাবে কাজ করেছেন। এখন তাকে কারাগারে রেখে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।”
গত বছরের ২৭ অক্টোবর রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরিবারের আর্তি— “দয়া করে তার চিকিৎসা নিশ্চিত করুন। চিকিৎসার সুযোগ না পেলে আমরা হয়তো তাকে আর ফিরে পাব না।”