অনলাইন ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের নিয়ে গঠিত বাণিজ্যিক সংগঠনগুলোকে একই আইনে নিয়মের মধ্যে আনতে সম্প্রতি বিধিমালায় পরিবর্তন আনে সরকার। যা বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা, ২০২৫ নামে প্রকাশ করা হয়েছে।গত ২৫ মে প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয় এই বিধিমালা। তবে নতুন এই বিধিমালা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন দেশে ব্যবসায়ীরা ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো। নতুন এই বিধিমালায় এবার বাণিজ্য সংগঠনগুলোর সদস্য হওয়ার জন্য নিবন্ধন ফি ও নবায়ন ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। যা পূর্বের বিধিমালায় ফি নির্ধারণ ও ফি প্রদানের কথা থাকলেও কোন নির্দিষ্ট করে ফি নির্ধারণ করা ছিল না। তাই সংগঠনগুলো তাদের সদস্যের সাথে আলোচনার প্রেক্ষিতে ফি নির্ধারণ করতো। তবে এবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে সেই ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
নতুন প্রকাশিত বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা, ২০২৫ এর ধারা ১৪ তে বাণিজ্য সংগঠনের শ্রেণিবিন্যাস, চাঁদার হার ইত্যাদি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়ছে। সে অনুযায়ী কোন বাণিজ্যিক সংগঠনের সদস্য সংখ্যা ৫০০ এর অধিক হলে ‘ক’ শ্রেণি এবং ৫০০ এর কম হলে ‘খ’ শ্রেণি হিসেবে বিবেচিত হবে। এ ক্ষেত্রে ক শ্রেণির সংগঠনের নতুন সদস্য নিবন্ধন ফি ১৫ হাজার টাকা ও বার্ষিক নবায়ন ফি ৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। একইভাবে খ শ্রেণির সংগঠনের নতুন সদস্য নিবন্ধন ফি ১০ হাজার টাকা ও বার্ষিক নবায়ন ফি ৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। সংগঠনগুলোর সাধারণ ও এসোসিয়েট উভয় সদস্যদের জন্য একই ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সদ্য প্রকাশিত বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা, ২০২৫ অনুযায়ী নতুন হারে অর্থ জমা করে সদস্যপদ নবায়নের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের অন্যতম বৃহৎ সংগঠন চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ। গত শনিবার (২১ জুন) সংগঠনটির প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ২০২৫-২০২৬ এর জন্য ফি জমা করে সদস্যপদ নবায়নের জন্য বলা হয়েছে। যা ১ জুলাই থেকে শুরু হবে।
এদিকে নতুন বর্ধিত ফি এর নিন্দা জানিয়ে চিটাগাং ফ্রেশ ফুডস এন্ড ভেজিটেবল এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন প্রেসিডেন্ট মাহবুব রানা পূর্বকোণকে বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণায় থেকে এভাবে সদস্য ফি নির্ধারণ করে দেওয়াটা বাবসায়ী বান্ধব হয়নি। কারণ সারা দেশের সকল ব্যবসায়ী একই রকম ব্যবসা করে না। আবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের মতো চেম্বারগুলোতে অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ব্যবসায়ী রয়েছে। যাদের জন্য ১৫ হাজার টাকা সদস্য ফি প্রদান চাপ সৃষ্টি করবে। এছাড়া বার্ষিক নবায়ন ফিও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। যা ছোট ব্যবসায়ীদের কপালে ভাজ সৃষ্টি করবে। যেহেতু এখন ব্যবসা মন্দা চলছে, তাই হয়তো অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ব্যবসায়ী তার সদস্যপদ নবায়ন নাও করতে পারে। আবার নতুন কোন ব্যবসায়ী সদস্য হওয়ার ইচ্ছা থাকলে উচ্চ হারের সদস্য নিবন্ধন ফি দেখে পিছিয়ে যেতে পারে। এই শঙ্কা রয়েছে।
