নিজস্ব প্রতিবেদক : বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারে মাছ কিনতে এসে থমকে দাঁড়ান রিকশাচালক মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। জীবন্ত একটা রুই মাছে চোখ যায় তার। দাম জানতে চাইতেই উত্তর আসে কেজিপ্রতি একদাম ৪০০টাকা। মুখ কালো করে সরে গেলেন তিনি।
পরে ২২০ টাকা দামের নাইলোটিকা মাছ কেনেন সাহাবুদ্দিন। যাওয়ার সময় এই রিকশাচালক বলেন, ‘কতদিন আর পাঙ্গাস-নাইলোটিকা খাওয়া যায়। ভেবেছিলাম রুইমাছ কিনবো। কিন্তু সাধ থাকলেও সাধ্য হলো না। বাজারে আসলে মন খারাপ হয়ে যায়। সবকিছুরই দাম বাড়তি। কোনটা রেখে কোনটা কিনবো, ভেবে কূল পাই না।’
সবজি থেকে মাছ-মাংস। মুরগি থেকে ডিম। বাজারে এখন সবকিছুই চড়া। এতে কষ্টে আছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার ও দুই নম্বর গেটের কর্ণফুলী কমপ্লেক্স বাজারে ঘুরে দেখা যায় প্রায় সবকিছুর দাম অপরিবর্তিতই আছে। আলু ছাড়া বেশিরভাগ সবজিই বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকার ওপরে। মরিচের কেজি এখনো দেড়শ টাকার আশপাশে।
মাছ-মুরগির দামেও স্বস্তি নেই। রুই-কাতলা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪৫০টাকা পর্যন্ত। চিংড়ি প্রকারভেদে ৭০০ থেকে ১২০০টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। সামুদ্রিক মাছের দাম আরও চড়া। এখনো ইলিশের দাম নিম্ম ও মধ্যবিত্তের পাতে পড়ার অবস্থায় যেন ফেরেনি। আকারভেদে এখনো ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ২০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত।মুরগির দামও কমার কোনো লক্ষণ নেই। ব্রয়লার ১৫০-১৬০, সোনালি ২৮০-৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দামও ১৩৫-১৪০ টাকায় পৌঁছে স্থির হয়ে আছে। স্বস্তি নেই পেঁয়াজেও। মাঝখানে আমদানির খবরে কিছুটা কমলেও এখন ফের খোলাবাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০টাকায়।তবে চালের দাম কমতির দিকে থাকায় কিছুটা স্বস্তিতে আছে মানুষ। ভারতীয় চালের আমদানি বাড়ার কারণে গত সপ্তাহ থেকেই কমতির দিকে আছে সব ধরনের চালের দাম।