২২শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মধ্যরাতের সংবর্ধনা-বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চে নিয়ে যেতে চাই : ঋতুপর্ণা

অনলাই ডেস্ক: ‘বাংলাদেশকে শুধু এশিয়ায় নয়, বিশ্বমঞ্চেও নিতে চাই’—মধ্যরাতের আবেগঘন সংবর্ধনায় এমন দৃপ্ত উচ্চারণে ভবিষ্যতের সাহসী স্বপ্ন তুলে ধরলেন নারী ফুটবল দলের অন্যতম সদস্য ঋতুপর্ণা চাকমা। রবিবার (৬ জুলাই) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে রাজধানীর হাতিরঝিলের অ্যাম্ফিথিয়েটার চত্বরে আয়োজিত এক ব্যতিক্রমী সংবর্ধনায় এমন আশাব্যঞ্জক বার্তা দেন তিনি।
ঋতুপর্ণা চাকমা বলেন, ‘আজকের এই সাফল্য আমাদের দলের সম্মিলিত পরিশ্রমের ফল। ফুটবল ব্যক্তিগত খেলা নয়। আমরা জানি কীভাবে কঠিন পরিস্থিতিতে লড়াই করতে হয়। আমাদের ওপর বিশ্বাস রাখবেন আপনারা, এই বাংলাদেশকে আমরা শুধু এশিয়ায় নয়, বিশ্বমঞ্চেও নিয়ে যেতে চাই।’
এর আগে, রাত দেড়টায় মিয়ানমার জয় করে দেশের মাটিতে পা রাখেন নারী ফুটবল দলের সদস্যরা। সেখান থেকে সরাসরি তাদের আনা হয় সংবর্ধনাস্থলে। রাতজাগা হাজারো দর্শক করতালিতে বরণ করে নেন এই ইতিহাস গড়া দলকে। মুখে মুখে ধ্বনিত হয়
প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। এই অনন্য অর্জনের তাৎক্ষণিক স্বীকৃতি জানাতে রাতেই আয়োজন করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। অনুষ্ঠানে একে একে মঞ্চে ডাকা হয় রুপণা চাকমা, শিউলি, শামসুন্নাহার, আফিয়া, তহুরা, কোহাতি, মনিকা, মারিয়া, ঋতু ও অন্য সদস্যদের। বাফুফের সদস্যরা তাদের হাতে তুলে দেন ফুলের তোড়া।অনুষ্ঠানে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল বলেন,‘আপনারা শুধু ইতিহাস লিখেননি, সমাজের মন মানসিকতা বদলানোর যাত্রাতেও নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আমরা আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকব।’সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমার কাছে দেশের সেরা অ্যাথলেট হচ্ছেন রাঙামাটির এই মেয়ে। বাংলাদেশ আপনাদের জন্য গর্বিত।’
সংবর্ধনায় বর্ণিল ডিজিটাল আয়োজনে খেলার মুহূর্তগুলোর ভিডিও প্রদর্শন, বিশাল ব্যানার ও স্লোগানে উদ্দীপ্ত ছিল পুরো স্থান। তবে বড় আয়োজন থাকলেও অনুষ্ঠানে ছিল না কোনো অর্থ পুরস্কার, প্রতীকী চেক বা আনুষ্ঠানিক ঘোষিত স্বীকৃতি। যা দর্শকদের অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন