নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলায় আদালতের দেওয়া যাবজ্জীবন সাজা মাথায় নিয়েই পালিয়ে বেড়াচ্ছিল একুশ বছর! চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির কর্ণফুলী চা-বাগানের গহিনে আত্মগোপন করে থাকা সেই পলাতক আসামি মো. আবু বক্করকে শেষমেষ পাকড়াও করল র্যাব-৭।ঘটনাটি ২০০৪ সালের জুলাই মাস। ফটিকছড়ি থানায় একটি গণধর্ষণের মামলা দায়ের হয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের অধীনে। তদন্ত ও বিচার শেষে আদালত আবু বক্করকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানার সাজা দেন।কিন্তু রায় ঘোষণার আগেই গা ঢাকা দেয় বক্কর। এরপর থেকেই পুলিশ, র্যাব ও প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে একের পর এক ঠিকানা বদল করে চলছিল পলায়ন।
র্যাব জানিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর আসে যে, চা-বাগানের নির্জন এক কোণে আত্মগোপন করে আছে সেই মো. আবু বক্কর। এরপরই বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে র্যাব-৭-এর একটি আভিযানিক দল হানা দেয় চা-বাগান এলাকায়। অনেকটা নাটকীয়ভাবেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।র্যাব জানায় গ্রেফতারের পর তাঁকে ফটিকছড়ি থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
