ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: ফটিকছড়ির রোসাংগিরী ইউনিয়নের তেলপারই খাল ও পাশের এক গভীর ডোবায় পাওয়া গেছে দুই হাজারেরও অধিক কোরবানি পশুর চামড়া। এই নিয়ে ফটিকছড়ি থানায় ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
ধারণা করা হচ্ছে ব্যবসায়ীরা চামড়ার উপযুক্ত দাম না পাওয়ায় এসব পশুর চামড়া খালে, ডোবায় ফেলেছে। গত ১০ জুন সকাল হতে এসব চামড়া উপজেলা প্রশাসন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্যদের সহায়তায় শ্রমিকের মাধ্যমে সংগ্রহ করে তা পুঁতে পেলানো ব্যবস্থা করেন। তিনদিন ধরে ১০ জন শ্রমিক নৌকাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে পঁচা গলা বিশ্রি দুর্গন্ধযুক্ত উক্ত চামড়া অপসারণ করে জনমনে স্বস্তি ফেরান। তবে, এ কাজে শ্রমিক সংকটেও পড়তে হয়েছে উপজেলা প্রশাসনকে। মূলত স্থানীয় বাসিন্দারা পঁচা দুর্গন্ধে বিষয়টি জানতে পেরে ইউএনওকে জানালে তিনি চামড়াগুলো অপসারণের ব্যবস্থা করেন।
এদিকে খবর পেয়ে পরিবেশ ও মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উক্ত খাল ও ডোবা পরিদর্শন করেছেন। ইউএনও মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, খবর পেয়ে আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় শ্রমিক নিয়োগ করে পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত চামড়াগুলো অপসারণের ব্যবস্থা করি। এতে মারাত্মকভাবে পরিবেশ দূষিত হয়েছে। পচা দুর্গন্ধ ছড়িয়েছে চারিদিকে। এছাড়া চামড়া ফেলানো উক্ত খালটি হালদা নদীর একটি শাখা খাল হওয়াই এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদীও হুমকির মধ্যে পড়েছে। এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি থানায় পরিবেশ আইনে একটি মামলা হয়েছে। অপরাধীদের খুঁজে বের করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম বিভাগের পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আসরাফ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ফটিকছড়ি থানায় পরিবেশ আইনে একটি মামলা করেছি। মামলায় অদ্যবধি কোন অগ্রগতি নেই।
