২রা আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

প্রবাসীদের রেমিট্যান্সে অর্থনীতির চাকা সচল হচ্ছে: রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সম্মাননা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মরণে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের যৌথ উদ্যোগে “রেমিট্যান্স যোদ্ধা দিবস-২০২৫” উপলক্ষে আলোচনা সভা ও রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান শনিবার সকালে নগরীর আগ্রাবাদস্থ জেলা কর্মসংস্থান অফিসের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক মহেন্দ্র চাকমার সভাপতিত্বে ও হযরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (আরএম ও এনজিও সেল শাখা) জাকিয়া মুমতাহিনা। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ-কোরিয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (বিকেটিটিসি) অধ্যক্ষ প্রকৌশলী পলাশ কুমার বড়ুয়া, মহিলা টিটিসি’র অধ্যক্ষ প্রকৌশলী আশরিফা তানজীম, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক হাসান মোহাম্মদ শাহরিয়ার ও জেলা প্রবাসী কল্যাণ কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক মোঃ এনায়েত উল্লাহ। অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরণকারী ‘রেমিট্যান্স যোদ্ধা’ সংযুক্ত আরব-আমিরাত প্রবাসী মোঃ নাজিম উদ্দিন ও অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী নাবিলা মাদানীকে ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা প্রদান করেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। সম্মাননাপ্রাপ্ত রেমিট্যান্স যোদ্ধাগণ তাদের নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি বন্ধসহ প্রশিক্ষণ নিয়ে বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য গমনেচ্ছুদের ভিসা ও টিকেটের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার আহবান জানান। এসময় বক্তব্য রাখেন প্রত্যাশী নামক এনজিও প্রতিনিধি বশির আহমদ। সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা ও রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া মুমতাহিনা বলেন, সারাদেশে প্রধম বারের মতো দিবসটি পালিত হচ্ছে। প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিট্যান্সে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হচ্ছে। দক্ষ ও প্রশিক্ষিত হয়ে বৈধ পথে বিদেশ গেলে কোন ধরণের কষ্ট পেতে হবে না, এতে অর্থ ও সম্মান দুই-ই মিলে। উন্নয়নের জন্য দক্ষতার প্রয়োজন আর দক্ষতার উন্নয়ন হলে কর্মসংস্থান বাড়বে এবং আমাদের দেশ আরও উন্নত হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, শর অর্থনীতির মেরুদন্ড রেমিটেন্স। প্রবাসী কর্তৃক প্রেরিত রেমিটেন্স দেশে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম পন্থা। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে প্রবাসীদের ভূমিকা অপরিসীম। দেশের সকল সেক্টরে আমাদের লোক প্রয়োজন। স্বাবলম্বী হতে হলে দক্ষতা অর্জন অবশ্যই জরুরী। বিপদে পড়ে যাতে কেউ বিদেশ না যায় সে ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। দেশে ও বিদেশে কোন প্রবাসী যাতে কোন রকম হয়রানির শিকার না হন, কিভাবে তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় সে ব্যাপারে আমাদেরকে আরো সর্তক থাকতে হবে। কর্মক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি নারী গোষ্ঠীকে কারিগরি শিক্ষায় সম্পৃক্ত করতে পারলে আমরা পিছিয়ে থাকবো না। আগামীতে কাঙ্খিত ও কারিগরি ভিত্তিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, দালালদের খপ্পরে না পড়ে যারা বিদেশ যেতে ইচ্ছুক তারা ভালো ভাবে বুঝে শুনে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষ হয়ে সেই দেশের ভাষা শিখে আইন কানুন মেনে বিদেশ গেলে মর্যাদা ও অধিক বেতন আদায় করতে পারে। প্রবাসীদের নানা সমস্যা ও তা সমাধানের উপায় এবং দেশের জিডিপিতে রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের ভূমিকার সম্ভাবনা নিয়ে আলোকপাত করেন বক্তারা।

 

আরও পড়ুন