অনলাইন ডেস্ক : দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভ তীব্র হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পদত্যাগ করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। প্রধানমন্ত্রী অলি স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্তমান সংকটের সাংবিধানিক সমাধানের পথ প্রশস্ত করার জন্য তিনি পদত্যাগ করেছেন। রাজধানী কাঠমাণ্ডু এবং নেপালজুড়ে সকাল থেকেই ক্ষুব্ধ বিক্ষোভ চলছে।প্রতিবাদকারীরা প্রধানমন্ত্রী ওলির পদত্যাগ দাবি করে সকাল থেকেই কালঙ্কি এলাকায় সড়ক অবরোধ ও টায়ার জ্বালানোর ঘটনা ঘটায়।বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ রাজনীতিকের বাসভবনে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ওলি এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার বাসভবনও রয়েছে। রাজনৈতিক দলের সদর দপ্তরও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া তিনজন মন্ত্রী পদত্যাগও করেছেন।সিভিল সার্ভিস হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক মোহন রেগমি বিবিসিকে বলেছেন, মঙ্গলবারের বিক্ষোভে দুইজন মারা গেছেন।তিনি বলেন, বর্তমানে ৯০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
অন্যদিকে, নেপালে দেশব্যাপী তরুণদের বিক্ষোভ অব্যাহত থাকায় অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে। নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র জ্ঞানেন্দ্র ভুল বিবিসির নেপালি পরিষেবাকে বলেছেন, ‘নেপালের রাজধানীর বাইরের বিমানবন্দরগুলো নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারায়, ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।’এ ছাড়াও, কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের দক্ষিণ রুট, কোটেশ্বর-কান্দাগরী-বালকোট, তীব্র ধোঁয়ার কারণে দৃশ্যমানতা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হওয়ায় বর্তমানে পাঁচটি আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে।ভুল বলেন, ‘অন্যথায়, নিরাপত্তা এবং প্রশাসনিক কারণে বিমানবন্দর বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে বিমান চলাচল প্রভাবিত হয়েছে।’সোমবার পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে ১৯ জন নিহত হওয়ার পর জারি করা কারফিউ অমান্য করে নেপালজুড়ে বিক্ষোভ তীব্র আকার ধারণ করেছে। সূত্র : বিবিসি
