খবর বিজ্ঞপ্তি: উপকূল সমাজ উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে এবং জাস্ট এনার্জি ট্রানজিসান নেটওয়ার্ক (জেটনেটবিডি) র সহায়তায় চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলায় র্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এলএনজি নির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করা ও নতুন করে এ ধরনের প্রকল্পে বিনিয়োগ না করার দাবিতে অনুষ্ঠিত উক্ত র্যা লী তে উপকূল সমাজ উন্নয়ন সংস্থার স্বেচ্ছাসেবক ও স্থানীয় যুব সমাজ অংশগ্রহন করে।র্যালি শেষে সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে এলএনজি ব্যবহার সম্পূর্ণ আমদানি নির্ভর, উচ্চ আমদানি খরচ, বৈশ্বিক বানিজ্যে এলএনজির মূল্যের অস্থিরতা জাতীয় বাজেট এবং জ্বালানী ভর্তুকির উপর ক্রমবর্ধমান চাপ সৃষ্টি করছে। অতিরিক্ত দামে এলএনজি কিনে (৭৯.৩৩ টাকা এবং বিক্রয় করা হচ্ছে ১৪.৭৫) এনে তা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে কম মূল্যে বিতরণ করা অত্যন্ত বিপজ্জনক। প্রতিবছর প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের জ্বালানী আমদানি করতে হয়। আমদানির এ জ্বালানীর দাম পরিশোধ করতে গিয়ে বৈদিশিক মুদ্রার রিজার্ভের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। জ্বালানীর দাম পরিশোধ করতে গিয়ে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে বরাদ্দ কমে যাচ্ছে, যা সার্বিক ভাবে দেশকে বিপজ্জনক আর্থিক ও পরিবেশগত ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এলএনজি আমাদানিতে ব্যয় হওয়া বিপুল অর্থ যদি সৌর, বায়ূ ও বায়োগ্যাস উৎপাদনে ব্যয় করা হতো, তবে দেশের জ্বালানী সংকটের একটি টেকসই সমাধান হতো।
বর্তমানে মিরসরাই উপজেলায় বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেখানে শিল্প কারখানায় বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ৬৬০ মেগাওয়াট একটি এলএনজি জ্বালনীভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের প্রস্তাবনা রয়েছে এবং এ প্রকল্পের জন্য ৩০ একর জায়গা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আমরা এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ করার জোর দাবি জানানো হয় এবং শিল্পাঞ্চল সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে নতুন চর জেগে ওঠেছে, যেখানে স্বল্পব্যয়ে সোলারভিত্তিক বিদ্যুৎপ্রকল্প স্থাপন খুবই সহজ হবে। সোলার প্রকল্পে প্রাথমিক বিনিয়োগ বেশি হলেও এটাতে উৎপাদন খরচ খুবই কম এবং মাত্র ৩ থেকে ৪ বছরের মধ্যে বিনিয়োগকৃত টাকা উঠে আসে এবং মিথেন গ্যাস নির্গমন হয়না বলে পরিবেশের উপর ও কোন প্রভাব পড়েনা। সুতরাং এ ধরনের টেকসই নবায়নযোগ্য জ্বালানী প্রকল্পে সরকারকে বিনিয়োগ করার দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপকূল সমাজ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ জোবায়ের ফারুক, সোশ্যাল এইডের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোঃ নাসির উদ্দিন এবং সংশপ্তকের পরিচালক অগ্রদূত দাশগুপ্ত, উপকূল সমাজ উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তা চন্দন কুমার পাল ও রেজাউল করিম।





