৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

দখলদারদের ‘স্বর্গরাজ্য’ পলিটেকনিক-বাংলাবাজার সড়ক

মোহাম্মদ জাহেদ উল্ল্যাহ চৌধুরী: চট্টগ্রা্ম মহানগরের পলিটেকনিক-বাংলাবাজার সড়কটি একের পর এক দখলে চলে যাচ্ছে। এছাড়া ফুটপাত-সড়ক দখল করে দোকান নির্মাণ আর পুরো এলাকায় অনিয়ন্ত্রিত ব্যাটারি রিকশার দৌরাত্ম্যে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।দখলদারদের ‘স্বর্গরাজ্যে’ পরিণত হওয়া এই চার লেনের সড়কের দুই পাশে বানানো হয়েছে কাভার্ডভ্যান, টেম্পো, সিএনজিচালিত অটোরিকশার স্ট্যান্ড। বাজার, গ্যারেজ ও ওয়াশিং পয়েন্ট তৈরি করে অবৈধভাবে চলছে বাণিজ্যিক কার্যক্রম।
সরেজমিন দেখা গেছে, বাংলাবাজারে গাড়ি চলাচলের পথ বন্ধ করে বসানো হয়েছে কাঁচাবাজার। আল আমিন মসজিদ থেকে বিএসআরএমের গোডাউন পর্যন্ত এলাকায় সড়কের দুই পাশে দাঁড়ানো কাভার্ডভ্যান, পিকআপ, টেম্পোর লম্বা সারি। টেক্সটাইল মোড়, টেকনিক্যাল মোড়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশার স্ট্যান্ড। পুরো সড়কের ফুটপাত দখল করে ভাতের দোকান, চায়ের দোকান এবং হকার বসা।
স্থানীয়দের অভিযোগ-সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আর পুলিশকে ‘ম্যানেজ করে’ পলিটেকনিক-বাংলাবাজার সড়ককে নিজেদের ‘সম্পত্তিতে’ পরিণত করে ফেলেছেন দখলদারেরা। রাজনৈতিক দলের পরিচয় আর প্রভাবশালী নেতাদের নাম ব্যবহার করে এসব কাজ করছেন তারা। ফলে জনগণের করের টাকায় বানানো এ সড়ক এখন আর জনগণের ব্যবহারের উপযোগী নেই। দখলদারদের দখলে চলে গেছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সিটি কর্পোরেশনের উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা বলেন, সড়ক দখল করে অন্যকিছু করার সুযোগ নেই। দ্রুত অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। সড়ক দখলমুক্ত করা হবে বলে তিনি জানান।
জানতে চাইলে গ্রিনভ্যালি আবাসিক এলাকার বাসিন্দা রিয়াজুল করিম জানান, দেশে রাজনৈতিক পালাবদল হলেও দখলদারেরা পরিবর্তন হয়নি। তারা ফুটপাত দখলের পর এখন সড়ক দখল করেও ব্যবসা করছে। মাত্র ১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কটি ঘুরে দেখলে- মনে হয় না নগরে কোনো প্রশাসন আছে।
অবৈধ ব্যাটারি রিকশা আর গ্রাম সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন আরেক স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল কবির। তিনি বলেন, যেমন খুশি তেমন স্টাইলে চলে এসব বাহন। সারাক্ষণ টেনশনে থাকি। কখন না চালকেরা গায়ের ওপর তুলে দেয়।

 

আরও পড়ুন