১৪ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

তিস্তার পানি বিপৎসীমার উপরে, পাঁচ উপজেলার হাজারো মানুষ পানিবন্দি

অনলাইন ডেস্ক: টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার বাম তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল তৃতীয় দফায় প্লাবিত হয়ে পাঁচ উপজেলার হাজারো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) লালমনিরহাট নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ৫২ দশমিক ২৬ মিটার, যা বিপৎসীমার চেয়ে ১১ সেন্টিমিটার বেশি। সকাল ৯টার মধ্যে পানি আরও বেড়ে ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।তিনি বলেন, “এখনো স্বল্পমাত্রার বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় পাউবো প্রস্তুত।”
পানি বৃদ্ধির কারণে লালমনিরহাট সদর, পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়েছে। এসব এলাকার চরাঞ্চলের রাস্তাঘাট ও বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে গবাদি পশু, শিশু ও বৃদ্ধদের নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা।
কালীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ ভোটমারীতে ইস্ট্রাকো সোলার প্যানেল এলাকায় ভাঙনের ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সোলার প্যানেল স্থাপনের ফলে তিস্তার স্রোতের ধারা বদলে লোকালয়ের রাস্তায় চাপ পড়ছে। এলাকা ভেঙে গেলে সরাসরি উপজেলা শহরে পানি ঢোকার আশঙ্কা রয়েছে।
পানিবন্দি মানুষের অভিযোগ, এখনো ত্রাণ সহায়তা পৌঁছায়নি। হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান জানান, তাঁর ইউনিয়নের ছয়টি ওয়ার্ডে পাঁচ হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দি। শিঙিমারী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মজিবর রহমান জানান, সেখানে প্রায় চার হাজার মানুষ পানিবন্দি। আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ হোছতের তথ্যমতে, অন্তত তিন হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন।লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচএম রাকিব হায়দার বলেন, “পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।”

আরও পড়ুন