২৮শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ড্যাফোডিল ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

অনলাইন ডেস্ক: তুচ্ছ ঘটনায় সাভারের খাগান এলাকায় অবস্থিত ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে সিটি ইউনিভার্সিটিতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাটসহ বেশ কয়েকটি যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। রবিবার রাত ১২টা থেকে ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দফায় দফায় চলা এ সংঘর্ষ পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এখনো শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।এ ছাড়া পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যায় ব্যাচেলর প্যারাডাইস হোস্টেলের সামনে সিটি ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী মোটরসাইকেল থেকে থুথু ফেললে তা ড্যাফোডিলের এক শিক্ষার্থীর গায়ে লাগে। এ নিয়ে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে রাত ৯টার দিকে সিটি ইউনিভার্সিটির প্রায় ৪০-৫০ জন শিক্ষার্থী দেশীয় অস্ত্র ও ইট-পাটকেল নিয়ে ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীদের হোস্টেলে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর করে। পরে ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।এরপর রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ড্যাফোডিলের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে সিটি ইউনিভার্সিটির দিকে অগ্রসর হলে দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ। একপর্যায়ে রাত ১২টার পর ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীরা সিটি ইউনিভার্সিটির ভেতরে ঢুকে প্রশাসনিক ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর চালায়। লুটপাট করা হয় কম্পিউটারসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল। এসময় পুড়িয়ে ফেলা হয় তিনটি বাস ও দুটি প্রাইভেটকার এবং আরো পাঁচটি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়।সংঘর্ষের সময় আতঙ্ক সৃষ্টি করতে একাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। ভোররাত পর্যন্ত চলা এ সংঘর্ষে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে অভিযোগ উঠেছে, দীর্ঘ চার ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চললেও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কোনো সহায়তা পাননি শিক্ষার্থীরা।
সাভার মডেল থানার ডিউটি অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আছেন। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।ঘটনা যেন নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই থাকে, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।’

আরও পড়ুন